বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চোপড়া কাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা তাজেমুল ওরফে জেসিবির (JCB) বিরুদ্ধে রাস্তায় ফেলে এক যুগলকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট)। এবার সেই জেসিবিকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।
চোপড়া কাণ্ডে (Chopra Incident) ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেতা। সোমবার তাঁকে ইসলামপুর আদালতে তোলা হয়। জেসিবির ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়েছিল পুলিশ। তবে আদালতের তরফ থেকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, জেসিবির বিরুদ্ধে গুরুতর জখম করা, খুনের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি, চক্রান্ত করে অপরাধ ঘটানো, মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ সহ একাধিক গুরুতর ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল বলেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির নানান ধারায় মামলা করা হয়েছে। শ্লীলতাহানি, খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ সেখানে যোগ করা হয়েছে। এদিন বিচারক ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন’।
আরও পড়ুনঃ বেআইনি নির্মাণ অতীত, এবার বেআইনি ইটভাটার বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ গ্রামবাসীরা, তোলপাড়
সঞ্জয় আরও বলেন, ‘তদন্তকারী অফিসার ওর বিরুদ্ধে ১২টি মামলার উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে খুনের মামলাও রয়েছে। পুলিশে এই কেসে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল। প্রথমে পুলিশের কাছে ওই ভিডিও এসেছিল। এরপর পুলিশের তরফ থেকে মামলা দায়ের করা হয়’।
এদিকে পুলিশের তরফ থেকে জেসিবির বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর ধারায় মামলা দায়েরের খবর সামনে আসতেই উঠে এসেছে নানান প্রশ্ন। জেসিবির বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকলেও তিনি এতদিন কীভাবে এলাকায় মাথা তুলে ঘুরছিলেন? শুধুমাত্র রাজ্যের শাসক দলের নেতা এবং স্থানীয় বিধায়কের ‘ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার কারণেই কি এতদিন তাঁর এত দাপট ছিল?
পাশাপাশি পুলিশ যদি এসব বিষয়ে আগে থেকেই জেনে থাকে, তাহলে আগে কেন জেসিবির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না? গ্রেফতার করতে এতদিন কেন লাগল? দেখা দিয়েছে এই প্রশ্নও। সব মিলিয়ে, চোপড়া কাণ্ড নিয়ে রাজ্য যে সরগরম তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।