বাংলা হান্ট ডেস্ক : তিনি হচ্ছেন বাংলার ‘কালারফু গাল বয়’। আজ দীর্ঘদিন ধরে মমতার (Mamata Banerjee) সাথে ছায়াসঙ্গীর মত ঘুরছেন তিনি। এইদিন পুজো উদ্বোধনেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গ দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। দূর্গাপুজার আগেই গানে গানে মমতা-বন্দনা করলেন বিধায়ক। গত সোমবার নিজের বাড়ি থেকেই ভার্চুয়ালি একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারমধ্যেই ভবানীপুর এলাকার ৬২ পল্লী থেকে মদন মিত্রকে (Madan Mitra) খুঁজে বের করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এইদিন মেরুন পাঞ্জাবীতে হঠাৎ করে মদন মিত্রকে দেখে তো পুরো অবাক মমতা। মেতে উঠলেন খুনসুঁটিতে। মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল, ‘কী মিস্টার মদন মিত্র! নিজের পাড়ায় না থেকে ৬২ পল্লীতে চলে এসেছ। ভেনাস ক্লাবের পুজোর সামনে আছে, এটা মনে করিয়ে দিতে এসেছ! মদন মিত্র বহুত চালু…সে এবার দু-মিনিট গান শোনাবে।’ কামারহাটির বিধায়কও হাসিমুখেই যোগ দিলেন দিদির খুনসুঁটিতে।
এরপরেই মমতা বলে ওঠেন, ‘মদন মিত্র নাকি এখন আবার সিনেমা করছে! সিনেমা করে কত টাকা পেয়েছ?’ এরপর তো লজ্জায় মুখ ঢাকার জোগাড় হয় মদন মিত্রের। জবাবে অভিনেতা বিধায়ক বলেন, ‘না না আমাকে কোনও টাকাপয়সা দেয়নি। তার বদলে মৃত সৈনিকের একটা পার্ট দিয়েছে একটু।’ জানিয়ে দিই, কিছুদিন আগেই ‘ওহ লাভলি’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
মদনবাবুর সংযোজন, ‘গতকাল আমি কামারহাটিতে ছিলাম। সেখানে ১০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা জানানো হয়। আজ হাওড়াতে যাত্রী সাথী-র উদ্বোধনে ছিলাম। এই যাত্রী সাথী অ্যাপ বাংলার পরিবহণে বিপ্লব ঘটিয়ে দেবে। দীর্ঘদিন আমি ট্যাক্সি ইউনিয়ন করেছি। আমি বলছি, এটা একটা বৈপ্লবিক চিন্তাধারা। ওপরে ভগবান আর মাটিতে মানুষ তোমার সঙ্গে আছে।’
এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা গান গেয়ে শোনার আর্জি জানান। মদন মিত্রের গলায় শোনা গেল, ‘কালীঘাটে আছে কালী, তারাপীঠে তারা মা/ দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণী, হরিশ চ্যাটার্জিতে সারদা মা। জয় মা….।’ বিধায়কের গান শুনে দিদি বলে ওঠেন, ‘কী গাইলে! এবার তো তোমাকে সবাই গান গাইতে ডাকবে! তখন কিন্তু বিনা পয়সায় গেও না। যা পয়সা পাবে তার সবটা ৬২ পল্লীতে দিয়ে দেবে। ভালো থেকো’।