‘ঈশ্বর যেন মেয়েটাকে বেল দিয়ে দেন’, সুকন্যার জামিন নিয়ে অনুব্রতর একমাত্র ভরসা এখন ভগবান

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গ্রেফতারির পর বহু মাস পেরিয়ে গেলেও গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) এখনও জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে বর্তমানে তিহাড় জেলে (Tihar Jail) ঠাঁই হয়েছে কেষ্টর। অন্যদিকে সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও (Sukanya Mondal)। তিনিও রয়েছেন সেই তিহাড়েই।

গত বছর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বহুবার জামিনের আর্জি জানিয়েছেন অনুব্রত। কোনোও সুরাহা হয়নি। জামিনের আবেদন করেছেন সুকন্যাও। আগামী ১২ মে সেই মামলার শুনানি। মেয়ের জামিনের জন্য বাবা অনুব্রতর ভরসা এখন ঈশ্বর। সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত থেকে বেরনোর পথে অনুব্রতর কাতর প্রার্থনা, “ঈশ্বর যেন বেল দিয়ে দেন।”

কেষ্ট-সুকন্যা দুজনেই একই জেলে থাকা সত্ত্বেও তাদের মধ্যে দূরত্ব অনেক। তবে বহু টানাপোড়েনের পর গত শনিবার অবশেষে দেখা হয় বাবা-মেয়ের। কী কথা হয়েছে দুজনার? এদিন সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে কেষ্ট বলেন, “বাবা-মেয়ের মধ্যে যা কথা হয়। তাই হয়েছে।” আগামী ১২ মে মেয়ের জামিন মামলার শুনানি নিয়ে অনুব্রত নিজের প্রার্থনা জানিয়ে বলেন, “ঈশ্বর যেন বেল দিয়ে দেন।”

গোয়েন্দা সংস্থার হাতে মেয়ের গ্রেফতারির পর প্রথমে চুপ করে থাকলেও পরে মুখ খোলেন অনুব্রত। ইডির বিরুদ্ধে আদালতে ক্ষোভ উগরে দেন কেষ্ট। বলেন, মেয়েকে গ্রেফতার করে কোনও ‘বাহাদুরির’ কাজ করা হয়নি। পাশাপাশি অফিসারদের প্রশ্ন ছুঁড়ে কেষ্ট বলেন, ‘মেয়েকে অ্যারেস্ট করে নিলেন? বিবেক বলে তো কিছু আছে নাকি?’

ed , anubrata, sukanya

মেয়ের গ্রেফতারির পর ‘ভালো নেই’ বলেও আদালতে মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত। এদিনও নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে অনুব্রত বলেন, “শরীর খুব খারাপ। বুকে ব্যথা। শ্বাসকষ্ট। সে কারণেই সংশোধনাগার পরিবর্তন করতে চাইছি।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর