বিরল দৃশ্য দেখল কলকাতা, তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একযোগে ধরনায় বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার পুরভোটকে কেন্দ্র করে জায়গায় জায়গায় অশান্তি দেখা দিয়েছে। এমনকি কয়েক জায়গায় বোমাবাজির ঘটনাও ঘটেছে। টাকি স্কুলের সামনে হওয়া বোমাবাজিতে এক ভোটারের পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। জানা গিয়েছে যে, তিনি সিগারেট কেনার উদ্দেশ্যে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন, আর বেরিয়েই বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে।

উল্লেখ্য, পুরভোটের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়ে অশান্তি, হিংসা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু হুঁশিয়ারিই সার, কলকাতায় জায়গায় জায়গায় অশান্তি আরও একবার নির্বাচনী সন্ত্রাসের নগ্নচিত্র সবার সামনে তুলে ধরেছে।

কিছুদি আগে ত্রিপুরার পুরভোটে অশান্তি নিয়ে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার সেই তৃণমূলের রাজত্বেই পুরভোটে রক্তাক্ত হল কলকাতা। বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস সব দলই নির্বাচনে সন্ত্রাসের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছে। অন্যদিকে, তৃণমূল তাঁদের দিকে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।

আরেকদিকে, নির্বাচনী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এক বিরল দৃশ্য দেখল কলকাতা। সাপে-নেউলে বলে পরিচিত সিপিএম ও বিজেপিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে বড়তলা থানার সামনে প্রতিবাদী ধরনায় বসতে দেখা গেল। অন্যদিকে, কংগ্রেসও সেই প্রতিবাদে অংশ নিয়ে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। তিনটি দলকেই একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও দেখা গেল বড়তলা থানার সামনে।

উল্লেখ্য, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি বুথে ছাপ্পা, বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সবকিছু দেখার পরেও পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতার বড়তলা থানার সামনে সিপিএম ও কংগ্রেস প্রার্থী ও কর্মীরা ধরনায় বসে পড়েন। সেখানেই গিয়ে যোগ দেন বিজেপির কর্মীরা।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর