বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রায় পছন্দ হয়নি! এবার সোজা বিচারকদের আবাসনে দাপাদাপি শুরু দুষ্কৃতীদের। পকসো মামলায় রায় অপছন্দ হওয়ায় এমনটা করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন বিচারকরা। ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনজন বিচারক (Diamond Harbour Court)। দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা জজকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিচারকরা (Diamond Harbour Court)!
জানা যাচ্ছে, অভিযোগকারী তিন বিচারক ডায়মন্ড হারবার সাব ডিভিশন আদালতে বসেন। ডায়মন্ড হারবার আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ ও অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ ৪ নম্বরের স্বাক্ষর রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, ৮ তারিখ রাতে তাঁদের আবাসনে দুষ্কৃতী হানার ঘটনা ঘটেছে। ওই দুষ্কৃতীদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্রশত্র থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিচারকরা (Judge)।
- কী জন্য দুষ্কৃতী হানা?
অভিযোগকারীদের অনুমান, পকসো মামলায় (POCSO Case) রায় অপছন্দ হওয়ায় দুষ্কৃতীদের এই দাপাদাপি শুরু হয়েছে। শিশুদের যৌন নিগ্রহের মামলায় পক্ষে রায় না দেওয়ার কারণে এমন ধরণের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে মনে সন্দেহ করছেন তাঁরা। বিচারকরা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় তাঁদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ সন্দীপদের মামলায় CBI-এর আর্জি শুনেই খচে ফায়ার? বিচারক যা বললেন … তোলপাড়
চিঠিতে লেখা হয়েছে, তাঁরা ক্যাম্পাসের বাইরে দুষ্কৃতীদের ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা জোর করে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টাও করেছেন বলে অভিযোগ। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ব্যক্তিদের আটকে দেন। বিচারকদের (Diamond Harbour Court) অভিযোগ, এই ঘটনায় একজন পুলিশ অফিসার ওই দুষ্কৃতীদের মদত দিয়েছেন। চিঠিতে ওই পুলিশ অফিসারের নামও উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা জজের কাছে চিঠি দেওয়া হতেই নড়েচড়ে বসেছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ (Diamond Harbour Police)। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে কারণ দর্শাতে বলার পাশাপাশি সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিচারকদের আবাসনের নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজ করা হচ্ছে।
বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপির (Diamond Harbour Court) এই ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃঢ় পদক্ষেপ হওয়া উচিত। কারণ এটা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা। এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই, এর থেকে বোঝা যায়। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়’।