বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশের পরেও তিনি দমে থাকেননি। এমনকি বুধবার সকাল বেলা ইকো পার্কে তে বেরিয়ে পরেছেন প্রাতঃভ্রমনে। সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আটটি রাজ্যের বুথ ভিত্তিক সংগঠন মজবুত করার দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্র। সেই প্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, ‘ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, কাজ দিয়েছেন সত্যি। এখনও তাঁর দাবি, দলের তরফে কিছুই জানানো হয়নি তাঁকে।
দিলীপ ঘোষের এমনিতেই স্পষ্ট কথা বলার জন্য বদনাম আছে। দলের রাজ্য সভাপতির পদ খোয়ানোর পর থেকে তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকের পাশাপাশি আক্রমণ দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বওকেও কথার বাণে আক্রমণ করেছেন। কখনও সুকান্ত মজুমদারকে তিনি আবার কখনও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন
সম্প্রীতি সদ্যই এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকার বিজেপি নেতৃত্বকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে। যার জেরে এবার সোজা দিলীপকে সেন্সর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেপি নাড্ডা। তাই দিলীপ ঘোষ বলেন ‘আমি দলের কথা কিছু বলতে পারবো না। কারণ আমার মন্তব্যের জন্য বর্তমানে দল বিড়ম্বনায় পড়ছে। এমনটাই নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্র’।
প্রসঙ্গত, এই চিঠির বিষয়ে কিছু জানা নেই বলেই মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তবে ওয়াকিবহল মহলের ধারণা ছিল, বুধবার থেকে স্বমহিমায় দেখা যাবে না বিজেপি সাংসদকে। তবে প্রতিদিনের মতোই এদিনও ইকো পার্কে যান দিলীপ। সেখানে সেন্সর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, উলটে সাংবাদিকদের দিকেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। বলেন, “আমি এখনও চিঠি পাইনি। পার্টির বিষয়, যাঁরা চিঠি লিখেছেন তাঁরাই জানেন। মিডিয়ার মাধ্যমে আমাকে খবর দেওয়া হবে কি? জানি না।”