আমার মাথা কেটে ফেললেও আমি গুয়াহাটি যাব না! ED-র তলবের পর বললেন সঞ্জয় রাউত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক টালবাহানার মধ্যেই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে সমন পাঠালো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২৭ জুন অর্থাৎ আজ তাঁকে ইডির সদর দফতরে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ইডি সঞ্জয় রাউতে জমি দুর্নীতি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর সঞ্জয়ের সঙ্গেই প্রবীণ রাউত এবং পাত্রা চোলকেও সমন পাঠিয়েছে ইডি। প্রসঙ্গত, এই জমি দুর্নীতির মামলাটি দায়ের হয় ২০০৭ সালে। সেই সময় মহারাষ্ট্রে এনসিপি-কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। এবং এই জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিলাসরাও দেশমুখ।

ইডির নোটিস পাওয়ার পরই বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দেন রাউত। তিনি বলেন, ‘আমি এই মাত্র জানলাম যে ইডি আমাকে নোটিশ পাঠিয়েছে। তবে আমার মাথা কেটে ফেললেও আমি গুয়াহাটির পথ নেব না। মহারাষ্ট্রে এখন রাজনৈতিক উথাল-পাতাল চলছে। আমরা, বালাসাহেবের শিব সৈনিকরা একটা লড়াই লড়ছি। আমাকে থামানোর জন্যই এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমাকে গ্রেপ্তার করা হোক, তাও আমি গুয়াহাটি যাব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানতাম, ইডি আমাকে সমন পাঠাতে পারে। কিন্তু আমি মাথা নামাব না। আমি বালাসাহেবের শিব সৈনিক। আমি দল ছেড়ে যাব না। কাল আমি ইডির সামনে যাচ্ছি না। কিছুটা সময় চেয়ে নেবো ইডির কাছ থেকে। তবে যাব আমি অবশ্যই।

এই দুর্নীতিতে কিভাবে জড়াল সঞ্জয়ের নাম?

এইচডিআইএল নামে এক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি একটি দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িয়ে সেই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন প্রবীন রাউত, সারং ওয়াধাওয়ান এবং রাকেশ ওয়াধাওয়ান। প্রবীণ রাউত এবং সারং ওয়াধাওয়ানকে ২০২০ সালেই গ্রেফতার করে ইডি। এই প্রবীণ রাউত শিব সেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউতের বন্ধু ছিলেন। প্রবীণের নাম চলে আসে পিএমসি ব্যাঙ্কের দুর্নীতির তালিকায় চলে আসে। জানা যায়, প্রবীণ রাউতের স্ত্রী সঞ্জয় রাউতের স্ত্রীকে ৫৫ লক্ষ টাকা ধার দেন। এই টাকা রাউত পরিবার দাদর এলাকায় একটা ফ্ল্যাট কিনতে ব্যবহার করেন। এই ঘটনার পরই বর্ষা রাউত ও মাধুরি রাউতের গোপন জবানবন্দি নেয় ইডি।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর