বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা কাঁটায় রাজ্যের উপনির্বাচন নিয়ে তৈরী হয়েছিল আশঙ্কার মেঘ।রাজ্য বিজেপির পক্ষে সায়ন্তন বসু (sayantan Basu) পরিস্কার জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কোনভাবেই নির্বাচন চায়না বিজেপি। কিন্তু অপরপক্ষে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কাছে হারের ফলে সমস্যার মুখে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)।
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে অসুবিধা না হলেও নিয়ম অনুযায়ী ছ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন জিতে তবেই ফের একবার পদে ফিরতে হবে তাকে। কিন্তু করোনা কালে লাগাতার নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আশঙ্কার মেঘ দানা বাঁধতে শুরু করে তার মুখ্যমন্ত্রী আসন ঘিরে। অবশেষে দেখা গেল কিছুটা আশার আলো। জানা গিয়েছে উপনির্বাচনের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
নবান্ন সুত্রে খবর নির্ধারিত ছমাসের মধ্যে নির্বাচন হতে আর কোন বাধা নেই। এদিন শুধু সাত কেন্দ্রে উপনির্বাচনই নয় রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচন নিয়েও রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে রাজ্যসরকার জানিয়েছে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে তাই এক্ষেত্রে সমস্যার কিছু নেই প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভার সাংসদপদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। এছাড়া খালি রয়েছে মানস ভুঁইয়ার পদও। আগামীদিনে এই পদগুলিতে মুকুল রায় (Mukul Roy) এবং যশোবন্ত সিনহাকে বসাতে পারে তৃণমূল।
তবে রাজ্যের প্রেক্ষিতে এখন রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনের চেয়েও অনেক বেশি জরুরি উপনির্বাচন। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এই উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রের কাছে অনুরোধও জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি এও জানিয়েয়েছিলেন প্রচারে মাত্র সাত দিন সময় দিলেই চলবে। তাই অবশেষে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি মেলায় স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা স্বস্তি পাবে রাজ্যের শাসকদল।
এই মুহূর্তে মোট সাতটি আসনে রয়েছে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ভবানীপুরের আসন ছড়েদিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া দিনহাটা, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবা ছাড়াও রয়েছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জ। নির্বাচনের আগেই প্রার্থী মৃত্যুর কারনে ভোট হয়নি ওই দুই বিধানসভায়।