বাংলাহান্ট ডেস্ক: এখন ইউটিউবে একটি ভিডিওই ট্রেন্ডিং, ‘গেন্দা ফুল’। বাদশা ও পায়েল দেবের গাওয়া এই গানের ভিডিও এখন মুখে মুখে ঘুরছে মানুষের। তবে গানটিকে ঘিরে বিতর্কও কম হয়নি। আসলে এই গান যার সৃষ্টি তিনি বীরভূমের মানুষ, নাম রতন কাহার। তাঁর লেখা ও সুর দেওয়া এই গানই দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছে বাঙালি। অথচ স্রষ্টারই নাম নেই ভিডিওতে। বালাই নেই কৃতজ্ঞতা স্বীকারেরও। বহু বিতর্কের পর এখন শুধু ক্রেডিটে বেঙ্গলি ফোক সংয়ের উল্লেখ। নানা বিষয় নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে বাদশার গান ‘গেন্দা ফুল’ কে ঘিরে।
ফের একবার বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে এই গান। এই অ্যালবামের পরিচালক, প্রযোজক ও একটি খ্যাতনামা মিউজিক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুলিসে। বাঙালি সংষ্কৃতি ও মহিলাদের সম্পর্কে কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগ ও তাদের অসম্মান করার জন্য এই অভিযোগ দায়ের করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আত্মদীপ। আজ, শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগণার বীজপুর থানায় এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন আত্মদীপ কর্তৃপক্ষ।
সভাপতি প্রসূন মৈত্রের কথায়, ‘ওরা যে গেন্দা ফুল নাম দিয়ে ভিডিও অ্যালবাম করেছে তাতে ধুনুচি নাচ ও বাঙালি মহিলাদের খুব অশ্লীলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই বিষয়ে আমি প্রথমে বাদশাকে সতর্ক করেছিলাম। বলেছিলাম, আপনাকে ক্ষমা চাইতছ হবে নাহলে আইনি পদক্ষেপ নেব। কিন্তু উনি এখনও পর্যন্ত ক্ষমা চাননি। এই কারনে আমরা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি। গানে যেকথা ব্যবহার করা হয়েছে তা খুবই কুরুচিকর। এছাড়া দূর্গা প্রতিমার সামনে আরতি করাকেও আপত্তিকর ভাবে দেখানো হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রতন কাহারের বিষয়ে মুখ খোলেন বাদশা। তিনি জানান, বড়লোকের বিটি লো গানটি নিয়ে তাঁর কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না। অনেকেই তাঁকে ‘চোর’ আখ্যা দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি অন্য শিল্পীদের সম্মান করতে জানেন। বাদশা জানান, এই পরিস্থিতিতেও রতন কাহারকে যেকোনও রকম সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত।