বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর জি কর ইস্যুতে (RG Kar Case) তোলপাড় চলছে শহর কলকাতায়। পিছিয়ে নেই বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের অলিগলিও। গত ১৪ আগস্ট ‘মেয়েরা রাত দখল করো’ শীর্ষক যে কর্মসূচি শুরু হয়েছিল, এবার সেই আন্দোলন বৃহত্তর আকার ধারণ করল। সুপ্রিম কোর্টের শুনানি বাতিল হয়ে গেলেও কাতারে কাতারে মানুষ রাজপথে নামলেন। এককথায় বলা যায়, রীতিমতো জনজোয়ারে ভাসল গোটা রাজ্য।
আর জি কর ইস্যুতে (RG Kar Case) ফের রাতের শহর দখল
এই কর্মসূচির মাঝেই অবশ্য বেশ কয়েকটি জায়গায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে (Rhituparna Sengupta) শ্যামবাজারে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, টলি ক্যুইনকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও ওঠে। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পরেও আন্দোলনকারীদের ধিক্কার স্লোগান শুনে আর সেখানে দাঁড়ান নি নায়িকা, সোজা গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান অভিনেত্রী।
পাশাপাশি খবরের শিরোনামে উঠে আসে গড়িয়ায় এক যুবককে বেধড়ক মারধরের ঘটনা। জানা যায় যে, গড়িয়ায় প্রতিবাদী মহিলাদের ছবি ও ভিডিয়ো তোলার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে।আন্দোলনকারীরা সেই যুবকের গায়ে হাত তুললে পুলিশ এসে ওই যুবকে উদ্ধারও করে। একইসঙ্গে, গড়িয়াতেই এক মদ্যপ ব্যক্তি মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করলে পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা।
আরোও পড়ুন : ‘ওই ঘরে ঢুকে টাকা অফার করেছিল পুলিশ আর..,’ RG Kar কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি নির্যাতিতার পরিবারের
তবে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা বাদ দিলে গোটা বাংলাতেই নারী-পুরুষ দল-মত নির্বিশেষে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সাড়া দিয়েছেন। টলিপাড়ার একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীরা রাত জাগছেন শুধুই আর জি করের এই নৃশংস ঘটনার (RG Kar Case) প্রতিবাদে। জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়, সোলাঙ্কি রায়, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়দের জমায়েতে দেখা গিয়েছে।
শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বেলে প্রতিবাদে শামিল সাধারণ মানুষ। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে (RG Kar Case) কোচবিহার শহরেও ‘রাতদখল’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। গ্রাফিতির রূপে সেজে উঠেছে বৈদ্যবাটি শহর। দক্ষিণেশ্বর, হাওড়া, বালুরঘাট, বহরমপুরের রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করছেন সাধারণ মানুষ। মধ্যরাতেও আর জি করের বাইরে প্রতিবাদে মানুষের ঢল নেমেছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, উত্তাল হয়ে উঠেছে কলকাতা, ফুঁসছে তিলোত্তমাবাসী।