বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সারা বিশ্ব এখন অনলাইন পেমেন্টে অভ্যস্ত। অনলাইন পেমেন্ট মানেই ক্যাশ পেমেন্টের থেকে অনেকখানি সুরক্কিত মনে করা হয়। কিন্তু এখন অনলাইন পেমেন্টও আর সুরক্ষিত নয়, সেদিকে হাত বাড়িয়েছে প্রতারকেরা। UPI মারফত অনলাইন ট্রানজেকশনকেই এক্ষেত্রে ব্যবহার করছে প্রতারকরা।
সম্প্রতি এরকমই কয়েকটা অভিযোগ জমা পড়েছে দেশজুড়ে। প্রতারকরা ফোন মারফত যোগাযোগ করছে মানুষের সাথে। কোনো কিছু কেনা বা বেচার কথা বলছে। এবং কৌশলে জেনে নিচ্ছে ইউপিআই আইডি । তারপর নিজের ইউপিআই আইডি থেকে ওই ব্যক্তির ইউপিআই আইডিতে টাকা দেওয়ার পরিবর্তে টাকা নেওয়ার জন্য রিকুয়েস্ট পাঠাচ্ছেন।আর অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি টাকা পাওয়ার আশায় সেই রিকুয়েস্টকে ‘Accept’ করে নিজেদের ইউপিআই পিন দিলেই ব্যঙ্ক থেকে টাকা উধাও।
এই প্রতারনা যেমন সহজ তেমনই সহজ এই প্রতারনা এড়িয়ে যাওয়াও সম্ভব। প্রয়োজন শুধু একটু সচেতনতা ও সতর্কতা। এরকম কোনো রিকুয়েস্টকে ‘Accept’ করবেন না। বরং তা deny করুন। তাহলেই আর কোনো প্রতারনার সম্ভাবনা থাকে না।
প্রসঙ্গত, এটিএম স্কিমিং অথবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্যান্য মারফত টাকা প্রতারিত হলে সেগুলির ক্ষেত্রে টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব হয়ে থাকে।কিন্তু ইউপিআই আইডি থেকে এই রকম উপায়ে প্রতারিত হলে কোনোরকম ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। মনে রাখবেন, টাকা পাঠাতে হলেই পিন লাগে, টাকা গ্রহন করতে কোনো রকম পিন বা পাসোয়ার্ড লাগে না। এরকম কিছু হলে পুলিশের সাইবার সেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগাযোগ করুব।