বিয়ের নামে পাকিস্তান থেকে চিনে দেদার নারী পাচার চলছে, সদ্ভাব রাখতে চুপ ইমরান সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্ক :বিয়ের নাম করে চিন থেকে পাকিস্তানে নারী পাচারের খবর নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে চিনে নারী পাচার নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে এবার প্রকাশ্যে এল এক সমীক্ষার পরিসংখ্যান। যেখান থেকে জানা গিয়েছে বিয়ের নাম করে চিনে পাকিস্তান থেকে দেদারে নারী পাচার হচ্ছে। তবে সেসব জেনেও ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকা পালন করছে পাকিস্তান সরকার।

জানা গিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার লোভ দেখিয়ে পাকিস্তানি মেয়েদের চিনে পাঠানো হচ্ছে পাত্রস্থ করার নামে। অথচ সেদেশে নিয়ে গিয়ে তাঁদের বিয়ে নয় বরং অন্য যেকোনো কাজে লিপ্ত করানো হচ্ছে। সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান তথ্য এসেছে প্রকাশ্যে। যা থেকে জানা গিয়েছে গত বছরের এপ্রিল মাস অবধি এই পাচার চক্রের কবলে পড়ে নিজের দেশ ছেড়েছেন ৬২৯ জন পাকিস্তানি মহিলা।

ইতিমধ্যে মানবাধিকার কমিশন থেকে শুরু করে ,সমস্ত তদন্তকারী সংস্থার তরফে সেই খবর পৌঁছেছে পাক সরকারের কাছে অথচ নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। এমনই অভিযোগ। আসলে চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের গলায় গলায় ভাব নিয়ে তো কারোর অজানা নয়। তাই সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চাননা ইমরান খান।bigstock Man s Hand Covering Mouth Of S 283903699 e1573665362588

আর তাই নারী পাচার সংক্রান্ত কোনো ঘটনার তদন্ত হলে নাকি ধামাচাপ দেওয়ার চচেষ্টা করা হয়, এমনকি আদালতে প্রভাবিত করারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।সংবাদ সংস্থা এপির মতে, চালাল মারফত ওই ৬২৯ জন মহিলা ও কিশোরী পাচার হয়েছে। অন্যদিকে আবার পাকিস্তানের ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশান এজেন্সি একটি পাচার হওয়া মহিলাদের তালিকা তৈরি করেছে। কোথায় কবে কোন মহিলা পাচার হয়েছে সেই সংক্রান্ত তালিকা তাঁদের কাছে রয়েছে।

কিন্তুএই তালিকা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে চিন। সম্প্রতি এক ব্যক্তি এপি-কে জানিয়েছেন,‘‘তদন্ত বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উপরমহল থেকে চাপ আসছে। নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রাণনাশেরও। তদন্তকারী অফিসারদের বদলি করা হচ্ছে দূরদূরান্তে।

তদন্তের সময় পুলিশ যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিল, সেই পাক মহিলাদের অনেকেই পরে সংশ্লিষ্ট মামলায় গরহাজির থাকছেন বা আদালতে গিয়ে উল্টো কথা বলছেন। উপরমহলের হুমকি বা অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’’

সম্পর্কিত খবর