বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পলাতক হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি (mehul choksi) অপহরণ কান্ডে নয়া মোড়। বান্ধবী বারবারা জ্যাবরিকার নির্দেশেই তাঁকে অপরহণ করা হয়েছিল বলে দাবী করলেন মেহুল চোকসি। এমনকি তাঁকে ছলনা করে ডেকে নিয়ে অপহরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
১৪ হাজার কোটি টাকার পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মেহুল চোকসি বেশ কিছুদিন ধরেই বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে চলতে মামলার মাঝে আচমকাই গত ২৩ শে মে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ অ্যান্টিগুয়া থেকেমেহুল চোকসিকে অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন তাঁর আইনজীবী।
প্রথমে জানা গিয়েছিল, কিউবা পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পরে যান পলাতক হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। বিশেষ বন্ধু গোবিনের সাহায্যেই তিনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেইসময় তাঁকে গ্রেফতার করে বর্তমানে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে এক নতুন গল্প শোনালেন মেহুল চোকসি। তাঁর দাবী, বান্ধবী বারবারা জ্যাবরিকার অনুরোধে গত ২৩ শে মে বিকেল সোয়া পাঁচটায় তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন মেহুল চোকসি। সেখানে মদ্যপানের আছিলায় তাঁর বান্ধবী তাঁকে বসতে বলেন। সেখানেই তাঁর উপর আট থেকে ১০ জন ‘পেশীবহুল’ ব্যক্তি ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর মোবাইল ফোন এবং রোলেক্স ঘড়ি ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে আহত করে।
মেহুল চোকসি আরও দাবী করেন, এই গোটা ঘটনায় তাঁর বান্ধবী তাঁকে সাহায্য করার বদলে, ওই দুষ্কৃতীদের সমর্থনে ছিলেন। এরপর তাঁকে দু’টি নৌকা করে ডোমিনিকা নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি। সেখানে একটি নৌকাতে তিনজন ভারতীর সঙ্গে জ্যাবরিকার কিছু কথোপকথন শোনেন তিনি। যা শুনে তিনি বুঝতে পারেন, ভারতীয় রাজনীতিকের নির্দেশেই এই কাজ হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা অবশ্য মেহুল চোকসির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ডোমিনিকায় পালাতে গিয়ে ধরা পড়ায়, এমন সব গল্প বানাচ্ছেন পলাতক হীরে ব্যবসায়ী। কারণ প্রথমে দাবী করা হয়েছিল, মেহুল চোকসির উপর হামলা করেছিলেন অ্যান্টিগুয়া কয়েকজন পুলিশ। আর এখন বলছেন বান্ধবীর বাড়িতে তাঁর উপর হামলা চালান দুস্কৃতীরা।