বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন কোভিডের কারণে রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি। কাল কি করে চলবে ভেবে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। তখনই বড় সুখবর এল ভারতীয় মাল্টি বিলিয়নিয়ার’ গৌতম আদানির জন্য। কোভিডের এই প্যানডেমিকের মধ্যেই এশিয়ার সর্বোচ্চ ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল আদানি গ্রুপ। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, চীনের বিজনেস টাইকুন জোহান সনসনকে পিছনে ফেলে এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন গৌতম আদানি। বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৭.৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে চীনের সর্বোচ্চ ধনী জোহানের সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে ৬৩.৬ বিলিয়ন ডলার।
এশিয়ার সেরা ধনীদের তালিকা প্রথম স্থানে অবশ্য রয়ে গেছেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানিই। গত বছরে প্রায় ১৭৫.৫ মিলিয়ন ডলার লস করলেও আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে ৭৬.৫ বিলিয়ন ডলার। সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে ১৪ তম স্থানে রয়েছেন গৌতম আদানি। আর তার ঠিক ওপরেই রয়েছেন মুকেশ। অবশ্য গত দু’বছর ধরে সমানে এশিয়ার সেরা ধনীর খেতাব ধরে রাখলেন মুকেশ আম্বানিই। যদিও কিছু কম যান না গৌতমও৷ ব্লুমবার্গ ইন্ডেক্স জানিয়েছে, এবছর যখন কোভিড প্যান্ডেমিকে রীতিমতো জর্জরিত ছিল গোটা বিশ্ব। তখনই প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। অন্যদিকে এই বছরে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার খুইয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে এলেন জোহান।
আদানি এন্টারপ্রাইজস, আদানি গ্রিন, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি পাওয়ার, আদানী গ্যাস এবং আদানি ট্রান্সমিশন সমস্ত কোম্পানি মিলিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আদানি গ্রুপের মোট বাজার মূল্য প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। খবর অনুযায়ী আদানি গ্রীন এবং আদানি পাওয়ার কোম্পানিগুলি চলতি বছরে প্রায় তিনগুণ মুনাফা লাভ করেছে। যেখানে আদানী পোর্ট মুনাফা করেছে প্রায় দ্বিগুণ। মূলত আদানি গ্রীন এবং আদানি পাওয়ার এই দুই কোম্পানি যেভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগিয়েছে তার সাফল্য দুরন্ত। আর সেই কারণেই এই মুহূর্তে এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী হিসেবে উঠে এলেন গৌতম আদানি।