যৌতুকের ১১ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিয়ে সরকারি চাকরিজীবী বর! বিয়ে করে স্ত্রীকে বাড়ি আনলেন মাত্র ১ টাকায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে প্রায়শই আমরা বিয়ের (Marriage) পরে সঠিক পণ (Dowry) না পাওয়ার কারণে গৃহবধূদের ওপর নির্যাতনের খবর শুনতে পাই। যেগুলির অধিকাংশক্ষেত্রেই জড়িত থাকেন বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। এমনকি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নির্যাতনের জেরে প্রাণও হারাতে হয় ওই গৃহবধূদের। বর্তমানের আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে এহেন ঘটনা সমাজের করুণ প্রতিচ্ছবিকেই ফুটিয়ে তোলে। যদিও, এই আবহেই এমন কিছু ঘটনাও সামনে আসে যেগুলি আশার আলো দেখায় সবাইকেই। পাশাপাশি, ঘটনাগুলি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সর্বত্র।

এমতাবস্থায়, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজাফফরনগর থেকে এবার একটি মন ভালো করা ঘটনা সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, এবার এক সরকারি চাকুরিজীবী তাঁর বিয়েতে দারুণ এক কাজ করেছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তিনি বিয়ের সময়ে কনের বাবা-মায়ের কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে পাওয়া ১১ লক্ষ টাকাসহ সমস্ত গয়না ফেরত দিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, তিনি মাত্র ১ টাকা গ্রহণ করে বিবাহ করেন। বর্তমানে এই ঘটনাই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

এই প্রসঙ্গে পিটিআই-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই বরের নাম হল সৌরভ চৌহান। পেশাগতভাবে তিনি একজন রেভিনিউ অফিসার। অপরদিকে, কনের নাম হল প্রিন্সি। তিনি লাখান গ্রামের বাসিন্দা এবং তাঁর বাবা হলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক। পাশাপাশি, প্রিন্সি ডাক্তারি পড়েছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যেতে বরযাত্রীরা লাখান গ্রামে পৌঁছন। এমতাবস্থায়, স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই সৌরভের এহেন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি, তিনি সমাজের সামনে এক বিরাট দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলেও মনে করেছেন তাঁরা।

কনের পরিবারও বরের প্রশংসা করেছে: এদিকে, বরের এই মনোভাবকে কুর্ণিশ করেছেন কনের আত্মীয়রাও। তাঁরা বলেন, রক্ষণশীল সমাজ ও চিন্তাধারার সামনে সৌরভ একটি নজিরবিহীন কাজ করেছেন। পাশাপাশি, সমাজকে নতুন পথ দেখানোর কাজটি করেছেন তিনি।

এমনিতেই এখনকার দিনে বরের সরকারি চাকরি থাকলেই কনের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের পণ দাবি করার প্রসঙ্গ সামনে আসে। কিন্তু, সেই ধারণাকে ভেঙে দিয়েই এক নজির স্থাপন করলেন সৌরভ। এমনকি, ইতিমধ্যেই এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়াতেও সামনে এসেছে। যেটি জানার পর নেটিজেনরাও সৌরভকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর