বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট পদক্ষেপ নিল সরকার (Government of West Bengal)। সম্প্রতি অর্থ দফতরের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য চালু হওয়া স্বাস্থ্য স্কিম নিয়ে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যের (Government of West Bengal)!
স্বাস্থ্য দফতরের ‘লেটেস্ট’ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, স্বাস্থ্য স্কিমে যুক্ত হওয়া হাসপাতালগুলির তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা কিডনি ইনস্টিটিউট (কালিকাপুর), আরামবাগ ডায়াগনস্টিক (আরামবাগ), টেকনো ইন্ডিয়া ডামা হেলথকেয়ার (ইএম বাইপাস), এএসজি হাসপাতাল (বিটি রোড), তপোবন হাসপাতাল (দুর্গাপুর)। সেই সঙ্গেই এএসজি হাসপাতাল (দেশপ্রাণ শাসমল রোড), জ্যোতির্ময় আরোগ্য ভবন (চণ্ডীতলা, শ্রীরামপুর), হিমালয়ান আই ইনস্টিটিউট (শিলিগুড়ি) এবং মেডিট্রাস্ট ডায়াগনস্টিকের (কাশিপুর রোড, দমদম) নামও রয়েছে ওই লিস্টে।
সাম্প্রতিক অতীতে অভিযোগ উঠেছিল, রাজ্য সরকারি কর্মীদের (State Government Employees) স্বাস্থ্য প্রকল্পের বিল পেশ করার পর টাকা পেতে দেরি হচ্ছিল। এমন অভিযোগ উঠতেই সরকারের তরফ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্ব যে মেডিক্যাল সেলের হাতে রয়েছে এবার থেকে সেখানে একজন চিকিৎসককে রাখা হবে। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে সরকারি কর্মীদের বিল মেটানো নিয়ে যে অভিযোগ উঠছিল তা সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ‘ওকে অ্যারেস্ট করা দরকার’! অভিষেককে গ্রেফতারির দাবি, সংসদে দাঁড়িয়ে সুর চড়ালেন সৌমিত্র
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগী এবং তাঁদের পরিবার এই স্বাস্থ্য স্কিমের দ্বারা ২ লক্ষ টাকা অবধি ক্যাশলেস পরিষেবা পেতে পারেন। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মীর চিকিৎসার খরচ যদি ২ লক্ষের মধ্যে হয় তাহলে তাঁকে কোনও বিল মেটাতে হয় না। এক্ষেত্রে সেই কর্মীকে এমপ্যানেলড হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা করাতে হয়।
তবে বিলের অঙ্ক যদি ২ লক্ষের গণ্ডি টপকে যায় তাহলে তা সরকারের (Government of West Bengal) কাছে জমা করতে হয়। রিইম্বার্সমেন্টের দ্বারা সেই টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মীকে ফেরত দিতে দেওয়া হয়। এতদিন এই বিলের টাকা পেতে দেরি হওয়া নিয়ে নানান অভিযোগ সামনে আসছিল। সরকারের নয়া পদক্ষেপের ফলে সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।