দালালদের মাথায় বাজ! জমি কিনতে গিয়ে আর ঠকতে হবে না, নয়া উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজের বাড়ি বানানোর ইচ্ছা কমবেশি প্রত্যেকেরই থাকে। ছোট হোক বা বড়, নিজের বাড়ি সবসময় নিজেরই হয়। সেই কারণে ভাড়া বাড়ির পরিবর্তে বেশিরভাগ মানুষই নিজের বাড়িতে থাকতে পছন্দ করেন। তবে বাড়ি করা যে চারটিখানি কথা নয়, এটাও ঠিক। জমি কিনতে গিয়ে অনেকসময়ই ঠকতে হয় ক্রেতাকে। এবার সেই জন্য বিরাট উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)।

যত সময় যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পকেটে টান পড়ছে আমজনতার। এই অবস্থায় নিজের ‘ড্রিম হাউস’ বানানো একেবারেই সহজ নয়। কারণ রোজকার প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জমির দাম (Land Valuation)। সেই সঙ্গেই দালালদের ‘ফাঁদ’ তো রয়েছেই।

কখনও দেখা যায়, ভুয়ো কাগজপত্র দিয়ে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে, কখনও আবার স্বল্প মূল্যের জমি (Land) চড়া দামে বিক্রি কয়া হচ্ছে। যে কারণে প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে এবার সাধারণ মানুষ যাতে আর এমন প্রতারণার শিকার না হন, তাই বিরাট উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুনঃ মেঘ থাকলেও বৃষ্টি নেই! বর্ষার ‘খেল’ কবে শুরু হবে কলকাতায়? আবহাওয়া দপ্তরের বড় আপডেট

কোভিডকালে জনগণের সুরাহা করে দিতে এবং আবাসন শিল্পকে ছাড় দিতে এই স্ট্যাম্প ডিউটি, সার্কেল রেটে ছাড় দিয়েছিল পশ্চিবঙ্গ সরকার। ফলে তখন অনেকেই নিজেদের পছন্দের জমি কিনেছিলেন। এদিকে রাজ্যের কোষাগারেও সম্পদ উপচে পড়ছিল।

তবে হিসেব বলছে, বিগত ৩ বছর স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ কর আদায়ে প্রচুর টাকার ঘাটতি হয়েছে। যে কারণে রাজ্য সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা যায়। এবার এই নিয়ে কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য সরকার। নেওয়া হয়েছে বিরাট উদ্যোগ।

Mamata Banerjee Government of West Bengal

এদিকে দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে নতুন জমির ডায়নামিক ভ্যালুয়েশন শুরু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদি এমনটা হয় তাহলে বাড়িতে বসেই মোবাইল ফোনে যে কোনও জমির মূল্য দেখতে পারবেন ক্রেতারা। জানা যাচ্ছে, যে সকল এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন বেশি সেখানকার জমি এবং বাড়ির মূল্য তত বেশি। এরপর ফলে যেমন ক্রেতাদের জমি কিনতে গিয়ে ঠকতে হবে না, তেমনই রাজ্যের কোষাগারে কর আদায়ের ঘাটতি হবে না। এই নয়া উদ্যোগের ফলে উভয় পক্ষেরই সুবিধা হবে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর