দীঘায় জলের দরে বিকোচ্ছে ৮০০ থেকে ১ কিলোর ইলিশ! খুব শিগগির আসছে কলকাতায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইলিশের (hilsa) বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও ঝড় বৃষ্টির কারনে ইলিশ না ধরেই ফিরতে হয়েছিল ট্রলারগুলিকে। যার জেরে ইতিমধ্যেই তেমন ভাবে ইলিশের স্বাদ পায়নি বাংলার মানুষ। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার পর প্রথম বার ট্রলারগুলি দীঘায় (digha) ফিরলে এত ইলিশ ধরা পড়েছে যে জলের দামেই বিক্রি হচ্ছে সেগুলি।

53661692 ilish hilsa fish fresh on a try at market
Ilish Hilsa Fish fresh on a try at market

দীঘায় ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কিলো ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। গত ১ জুলাই ইলিশ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয় বড় ট্রলার ও ভাসানি। সেগুলির মধ্যে কয়েকটি ট্রলার ভিড়েছে দিঘা মোহনায়।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেকটাই কম থাকবে ইলিশের দাম; এমনটাই জানালেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। চাহিদার তুলনায় অনেক বেশী জোগান থাকার কারনেই এই বছর মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই থাকবে রূপালি শস্য।

জানা যাচ্ছে, ইলিশের দাম কমার পেছনে প্রধান কারন লকডাউন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছিল দেশজুড়ে। তাই প্রায় ৮০ দিন সমুদ্রে যেতে পারেনি মৎস্যজীবিরা। ফলে প্রাক বর্ষায় নদীতে ঢোকা ইলিশের দল জালে ধরা পড়ে নি। অতি সহজেই তারা সন্তানের জন্ম দিতে পেরেছে।

পাশাপাশি, লকডাউনের কারনে বায়ুর পাশাপাশি জলও হয়ে উঠেছে নির্মল। অনেকটাই কমেছে দূষণ। আর এই দূষণমুক্ত পরিবেশ ইলিশদের বংশ বিস্তারে সহায়ক হয়েছে। জেলেরাও খোকা ইলিশ মাছ ধরতে পারেনি। যার ফলে সেগুলি ইতিমধ্যে ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের হয়ে গিয়েছে। প্রতবছর খোকা ইলিশ ধরে নেওয়ার কারনে বড় ইলিশের দাম সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির হাতের বাইরে চলে গেলেও এবার তেমন কিছু হচ্ছেনা।

এছাড়াও, প্রতি বছর দেশের একটা বড় অংশের ভাল মানের ইলিশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মন্দা ও করোনা ভাইরাসের কারনে এবছর রপ্তানিও অনেকখানি কম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।


সম্পর্কিত খবর