বাংলাহান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। এই ছবিগুলি প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালদ্বীপের কিছু মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ও ভারতকে নিয়ে বিদ্বেষ মূলক মন্তব্য করেন।
যদিও সমাজ মাধ্যমে মালদ্বীপের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে বেশ কড়া ভাষায় জবাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মালদ্বীপের প্রধানমন্ত্রী বিদ্বেষ মূলক মন্তব্য করায় তার ক্যাবিনেটের ৩ মন্ত্রীকে বরখাস্তও করেছেন। লাক্ষাদ্বীপ একটা সময় ছিল হিন্দু ও বৌদ্ধদের বাসস্থান। তবে ধীরে ধীরে এটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হয়ে ওঠে।
আরোও পড়ুন : কত টাকার মালিক বামেদের নয়নের মণি মীনাক্ষী? পড়াশোনাই বা কতদূর! জানলে আকাশ থেকে পড়বেন
লাক্ষাদ্বীপের বর্তমান রাজধানী কাভারত্তি। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের ৯৬% মানুষ ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করেন। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় এই অঞ্চল একটা সময় ইসলাম অধ্যুষিত ছিল না। এই অঞ্চলে বাস ছিল হিন্দু ও বৌদ্ধদের। কিন্তু কীভাবে লাক্ষাদ্বীপ ইসলাম অধ্যুষিত অঞ্চল হয়ে উঠল? আরব সুফি উবায়দুল্লাহ দ্বারা ৬৩১ খ্রিস্টাব্দে লাক্ষাদ্বীপে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন হয়।
আরোও পড়ুন : ‘রাজ্য সরকার চালু না করলে আমিই বার্ধক্য ভাতা দেব’, ভোটের আগে বড় ঘোষণা অভিষেকের
খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে ৪১ হিজরীর কাছাকাছি সময়ে লাক্ষাদ্বীপে ইসলাম ধর্মের সূচনা হয়। রাজা চেরামন পেরুমল কর্তৃক এই দ্বীপপুঞ্জের প্রাচীনতম অধ্যুষিত দ্বীপ হল আমিনি, কালপেনি আন্দ্রোট, কাভারত্তি এবং আগাট্টি। 825 খ্রিস্টাব্দে রাজা চেরামন পেরুমল ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সেই সময় এই অঞ্চলের সাথে বাণিজ্যিকভাবে যোগাযোগ ছিল আরবদের।
শেষ চোল রাজারা এবং তারপর কান্নানোরের রাজাদের দ্বারা এই অঞ্চল পরিচালিত হত। পরে চিরাক্কল হিন্দু শাসকরা এবং তারপরে আরক্কাল মুসলমানরা, তারপরে টিপু সুলতান এবং তারপরে ব্রিটিশরা লাক্ষাদ্বীপে শাসন চালায়। ১৯৫৬ সালে ভাষার ভিত্তিতে ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে এই অঞ্চল একীভূত হয়।
এরপর লাক্ষাদ্বীপ অন্তর্ভুক্ত হয় ভারতের রাজ্য কেরলের। সেই বছরই লাক্ষাদ্বীপকে দেওয়া হয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা। Laccadive, Minicoy এবং Amindivi নামে আগে পরিচিত ছিল এই অঞ্চল। এই দ্বীপ অঞ্চলের নাম লাক্ষাদ্বীপ রাখা হয় ১৯৭১ সালে।