বাংলা হান্ট ডেস্ক :বিরোধীদের সঙ্গে ব্যাপক টানাপড়েন ও লড়াইয়ের শেষে লোকসভায় ও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির অনুমোদ মিলেছে। তাই আজ থেকেই আইন প্রনয়ন ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কার্যকর হতে চলেছে। কিন্তু কেন্দ্রের এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দলীয় অন্দরেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তাই তো এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল রাজ্য সভায় পাশ হওয়ার মাত্র কয়েকঘন্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার সরাসরি বিজেপি ছাড়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। তাই বৃহস্পতিবার শক্তিপুরে নিজের বাড়িতে বসেই প্রাক্তন মন্ত্রী জানিয়েই ছিলেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নাকি মানুষের স্বার্থের খাঁড়ার মতো নেমে আছে তাই তিনি বিজেপিতে থাকছেন না।
রাজ্যজুড়ে যেভাবে বিরোধিতার ঝড় উঠেছে, এবূং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে তার মধ্যে যেন হুমায়ুনের এই বিরোধিতা কার্যত দোসরের ভূমিকা নিচ্ছে। যদিও হুমায়ুনের মতো আরও কেউ আছে কি না তা হয়তো জানা নেই। তবে হুমায়ুনের বিরোধিতা শুনে কিন্তু বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র তাঁকে ছেড়ে কথা বলেননি,
যদিও তাঁকে পরামর্শ হিসেবেই দেখছেন অনেকে। কৌলাস বলেন,‘‘জলদবাজি মত দিখাও যারা শোচ কে তো দেখো (তাড়াহুড়ো কোর না, ভেবে দেখো)!’’ যদিও হুমায়ুনের এই বক্তব্য ঘিরে যখন রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ঠিক তখনই দল বদলের জল্পনা উঠেছে। যদিও সে বিষয়ে এখনই কিছু স্পষ্ট্য করে জানাননি কবীর।
যেহেতু বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে তাই বিক্ষোভকারীরা বিজেপি নেতাদের টার্গেট করেছে বলেই শোনা যাচ্ছে। অসমের তিনসুকিয়াতে দোকানঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি বাড়িতেও হামলা করা হচ্ছে বলে শোনা গিয়েছে। এককথায় গোটা রাজ্য জুড়ে আশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে। গুয়াহাটিতে জারি হয়েছে কার্ফু। অসমে নিরাপত্তা বাহিনী জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ১২ কোম্পানিপ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিক গত সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পথ অবরোধ করেছিল একই সঙ্গে মিছিলে হেটেছে তাঁরা। অসমের ডিব্রুগড়ে সেনা নামানো হয়েছে যাঁরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ শুরু করে দিয়েছে।