বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিয়ের ১৮ বছর পর এক ব্যাক্তি তাঁর স্ত্রীকে ফোনে তিন তালাক (Triple Talaq) দিল। এই ঘটনার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) শুক্রবার নির্যাতিতা মহিলাকে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এই বিষয়ে একটি ট্যুইট করে লেখেন, ‘ভোপালে আজ সকালে এক মুসলিম বোন তাঁর স্বামী দ্বারা ফোনে তিন তালাক দেওয়া নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি ওই বোনকে আশ্বাস দিচ্ছি যে, মধ্যপ্রদেশ পুলিশ তাঁকে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার জন্য যথা সম্ভব চেষ্টা করবে।
मेरी इस बहन को मैं न्याय दिलाऊंगा।
महिलाओं की इज़्ज़त के साथ कोई भी किसी तरह का खिलवाड़ नहीं कर सकता। मैं कर्नाटक के मुख्यमंत्री से भी इस मामले को लेकर बात करने वाला हूँ।
दोषी के खिलाफ उचित कार्रवाई की जाएगी, इसके निर्देश मैंने पुलिस अधिकारियों को दे दिए हैं। pic.twitter.com/kl5Dh8D82n
— Shivraj Singh Chouhan (@ChouhanShivraj) August 21, 2020
উনি বলেন, ‘কয়েক দশকের লড়াইয়ের পর আমাদের মুসলিম বোনেদের স্বভিমানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার তিন তালাক শেষ করার জন্য আইন বানিয়েছে। কিন্তু এখনো কিছু নিক্রিস্থ মানুষ এই আইন নিয়ে ছেলেখেলা করছে।” চৌহান লেখেন, ‘আমি এই বিষয়ে পুলিশ কমিশনারকে সমস্ত কথা জানিয়ে দিয়েছি। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ব্যাঙ্গালুরু পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে উচিৎ পদক্ষেপ নেবে। আমাদের মুসলিম বোনকে ন্যায় পাইয়ে দেবে।
पीएम श्री @narendramodi आपने #tripletalaq पर कानून बनाकर मुस्लिम बहनों को एक नई आशा दी है। इसके लिए आपका और मा. श्री @rsprasad जी का आभार!
ऐसी ही हमारी एक पीड़ित बहन ने गुहार लगाई है और हम उसको पूरा न्याय दिलायेंगे।
प्रधानमंत्री जी, हमारी बहन ने आपको 'Special Thank You' कहा है! https://t.co/cklW63eoEE pic.twitter.com/WnY89dkrz6
— Shivraj Singh Chouhan (@ChouhanShivraj) August 21, 2020
প্রসঙ্গত, ৪২ বছর বয়সী এক মুসলিম মহিলা ৩১ জুলাই ওনার স্বামী দ্বারা হোয়াটস অ্যাপ কলের মাধ্যমে তিল তালাক দেওয়া নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মহিলা অভিযুক্ত ফৈজ আলম আনসারির বিরুদ্ধে পণ আইন আর মুসলিম বিবাহ আইন বিরোধী কার্যকলাপ করার জন্য মামলা দায়ের করেন।
২০০১ সালে দুজনের নিকাহ হয়। তাঁদের দুটি সন্তানও আছে। এরা দুজনেই সিঙ্গাপুরেরও নাগরিক। তাঁদের কাছে ওভারসিস সিটিজেন অফ ইন্ডিয়ার কার্ডও আছে। এই দম্পতি ২০১৩ সালে সিঙ্গাপুর থেকে ব্যাঙ্গালুরুতে আসে। আপাতত অভিযুক্ত ফৈজ ব্যাঙ্গালুরুর একটি হোটেলে কাজ করছে।