বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি1 (Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শিক্ষা দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সংশোধনাগারে। শুধু তিনিই নন, মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya), কল্যাণময় গাঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmay Ganguly), সুবীরেশ ভট্টাচার্যের মতো কর্তাব্যক্তিরাও হয় ইডি না সিবিআইয়ের তদন্তের সামনে। প্রত্যেকেই কোনও না কোনোও সংশোধনাগারে রয়েছেন। দুর্নীতির আঁচ পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারেও। এরই মধ্যে চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
সাবিনা ইয়াসমিন এদিন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘যিনি সকাল সন্ধ্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বলবেন তাকেই আমরা চাকরি দেব। সিপিএমের আমলে বড় ব্যাগ কাদের নেওয়া দের কিভাবে চাকরি হয়েছে? খোঁজ নিন।’ উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় এসে সাংবাদিকদের এই কথাই জানালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, ‘মন্ত্রীরা বছরে তিনটি করে চাকরি দিতে পারেন। সিপিএম কংগ্রেস ও বিজেপিকে চাকরি দেব নাকি! যেখানে মৌখিক পরীক্ষা থাকে সেখানে আমার দলের ছেলেদের দশে দশ দেবো দিতে বলব। ওরা দলকে সহযোগিতা করেন। এবং পার্টির দ্বারাই সরকার গঠন হচ্ছে। তাই সিপিএম কংগ্রেস বিজেপির লোকদের চাকরি দেব না। এক্ষেত্রে আমার ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমি আমার দলের ছেলেদের চাকরি দেব।’
শুধু সাবিনা ইয়াসমিন নন, এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) অতীতে একবার বলেছিলেন, ‘চাকরি তৃণমূলের ছেলেমেয়েরাই পাবে। কোথায় পাবে, কেন পাবে, কীভাবে পাবে, সেসব আমি বলব না।’ সেই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেই কথার পর অনেকদিন কেটে গেলেও বিরোধীরা এখনও মাঝেমধ্যেই বিষয়টি হাতিয়ার করে। টিভি নাইন বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে। কেন তিনি সেদিন ওই কথা বলেছিলেন, তার ব্যাখ্যা দিলেন ব্রাত্য বসু।
মন্ত্রীর কথায়, তিনি কোনওদিন বলেননি কোন সরকারি দফতরের চাকরি পাবেন তাঁরা। বললেন, ‘বামফ্রন্ট সরকারের আমলে নিয়ম ছিল, প্রত্যেক মন্ত্রী তাঁদের দফতর পিছু দুইজন করে অ্যাটেন্ড্যান্ট নিতে পারবেন। ২০১১ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই আইন সংশোধন করে দফতর পিছু তিন জন করা হয়। আমার সরকারি দফতরের কেরিয়ারে আমি বেশিরভাগ সময় আমি দুটি দফতরের দায়িত্বে ছিলাম। হিসেব করলে এখানে চাকরির অঙ্ক বেশ বড়, প্রায় ৫০-৬০ জন।’