বাংলাহান্ট ডেস্ক: জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একবারের জন্যও নিজের ভাষণে পাকিস্তান শব্দটি উল্লেখ করেননি। এমনকি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটিও কথা বলেননি নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে নিজের সব ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এদিন জাতিসংঘের বক্তৃতায় হুমকির সুরে বলেন, ‘ আমি কোনো হুমকি দিচ্ছি না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলকে ভাবতে হবে তারা ১৩০ কোটির বাজারকে তোষণ করবেন, না নিরীহ নিরপরাধ নাগরিকের পাশে থাকবেন। দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ যদি যুদ্ধ করে কার প্রভাব কিন্তু গোটা বিশ্বে পড়বে।’
ভারত সরকার জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এর আগেও ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। বিভিন্ন সময়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ইমরান খান বার বার তোপ দেগেছেন ভারতের বিরুদ্ধে। শুধুমাত্র ইমরান খান নয় তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকরা বারবার হুমকি দিয়েছেন ভারতকে। তবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতিসংঘ যে এই নিয়ে আলোচনা করবেন তা ভাবা যায়নি।
ইমরান খান ভারত কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘জম্মু কাশ্মীর থেকে কারফিউ না তুললে রক্তবন্যা বইবে।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এর আগে এয়ার স্ট্রাইক এর কথা স্বীকার না করলেও জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ভারতের হামলায় দশটা গাছ ছাড়া কোনো কিছুরই ক্ষতি হয়নি। ভারতের এক পাইলট ধরা পড়লেও আমরা তাকে মুক্তি দিয়েছি। কিন্তু মোদি সরকার ১৫০ জন জঙ্গী মারা গেছে বলে ভোটের সময় ভারতে অপপ্রচার চালিয়েছেন।
ইমরান খান আরও বলেন, যদি যুদ্ধ বাধে তাহলে যে কোনো ঘটনাই ঘটতে পারে।এরকম ঘটনা ঘটলে পাকিস্তান তার থেকে সাত গুণ বড় প্রতিবেশী দেশকে কীভাবে মোকাবেলা করবে? হয়তো আমাদেরকে নত স্বীকার করতে হবে। হয়তো আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হবে।
অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাষণে বলেন, আমরা বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছি, যুদ্ধ নয়। নরেন্দ্র মোদী এদিন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানবতার জন্য হাত মেলাতে গোটা বিশ্বকে আহ্বান জানান। তিনি এদিন জাতিসংঘের মঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে সন্ত্রাসবাদ কোন একটি বিশেষ দেশের কাছে চ্যালেঞ্জ নয়, সব দেশ ও মানবতার কাছে চ্যালেঞ্জ।