বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের (Russia-Ukraine) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলছে। এদিকে, ইজরায়েল ও হামাসও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, ইরান ও ইজরায়েলের (Iran-Israel Conflict) মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (World War III) আশঙ্কা আগের চেয়ে প্রবল হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, মনে করা হচ্ছে যে, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত আগামী সময়ে তীব্রতর হবে এবং এর প্রভাব সারা বিশ্বে অনুভূত হবে। এমতাবস্থায়, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্কই শুধু প্রবল হয়ে ওঠেনি পাশাপাশি, নিরাপত্তা নিয়েও আতঙ্ক তৈরি হতে শুরু করেছে মানুষের মধ্যে। এমতাবস্থায় বর্তমান প্রতিবেদনে চলুন জেনে নিই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে কোন কোন দেশের মানুষ সবথেকে নিরাপদে থাকবেন।
অ্যান্টার্কটিকা: এই তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে একটি মহাদেশের। হ্যাঁ, আমরা অ্যান্টার্কটিকার কথা বলছি। অ্যান্টার্কটিকা তার পর্যটন এবং নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য সমগ্র বিশ্বে পরিচিত। এমতাবস্থায়, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এই মহাদেশে খুব কম প্রভাব ফেলতে পারে।
আর্জেন্টিনা: আর্জেন্টিনার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি পরমাণু যুদ্ধের পর টিকে থাকার জন্য অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পারমাণবিক হামলা কৃষিতে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। কিন্তু, এখানে প্রচুর পরিমাণে গমের মতো প্রতিরোধী ফসল রয়েছে। যা ওই দেশকে একটি নিরাপদ দেশ করে তুলেছে।
ভুটান: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা পারমাণবিক হামলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ দেশের তালিকায় ভারতের প্রতিবেশী দেশ ভুটানও রয়েছে। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে যোগদানের পর ভুটান যেকোনো বিরোধের ক্ষেত্রে নিজেকে নিরপেক্ষ থাকার ঘোষণা করেছিল। এই কারণে গ্লোবাল পিস ইনডেক্সে ভুটানের র্যাঙ্কিংও ভালো জায়গায় রয়েছে।
ফিজি: আপনি যদি যুদ্ধের পরিস্থিতিতে কোনো দূরবর্তী স্থানে যেতে চান, তাহলে ফিজি সবচেয়ে ভালো বিকল্প। এটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এখান থেকে নিকটতম দেশ অস্ট্রেলিয়া এবং উভয়ের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৪,৩৪৫ কিলোমিটার। ফিজি ঘন জঙ্গলে ঘেরা একটি জায়গা এবং লড়াইয়ের সময়ে নিরাপদে থাকার জন্যও উপযুক্ত।
আরও পড়ুন: ২৪ মাসেই বাজিমাত! যুবতীর বিজনেস আইডিয়া শুনেই বিনিয়োগ করলেন শার্ক ট্যাঙ্কের বিচারকরা
চিলি: এটি বিশ্বের দীর্ঘতম উপকূলরেখার দেশ। যা মোট ৬,৪৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। আর্জেন্টিনার প্রতিবেশী দেশ চিলিও অনেক ধরণের ফসল ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। দক্ষিণ আমেরিকায় উন্নয়নের স্তর চিলির মধ্যে সবথেকে বেশি রয়েছে। এমতাবস্থায়, বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে এই সমস্ত বিষয়গুলি দেশটিকে বেশ নিরাপদ করে তুলবে।
আরও পড়ুন: অশুভ শক্তির বিনাসের আশায় দেবী অন্নপূর্ণার আরাধনা! উত্তর ২৪ পরগনায় মহাসমারোহে হচ্ছে পুজো
এই দেশগুলিও রয়েছে তালিকায়: উপরিউক্ত এই দেশগুলি ছাড়াও, আরও একাধিক দেশ রয়েছে যেগুলি বিশ্বযুদ্ধের ক্ষেত্রে বেশ নিরাপদ থাকতে পারে। এর মধ্যে গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড এবং টুভালুর মতো দেশের নামও রয়েছে।