বাংলা হান্ট ডেস্ক : ছেলে নামাজ পড়ত না। বহুবার বলেও কাজ হয় নি। তাই উপায়ন্তর না দেখে এমন ‘অপরাধের’ শাস্তি দিতে বছর ২৪-এর যুবক ছেলেকে নৃশংস ভাবে হত্যা করল বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানে (Pakistan)। এই খবর সামনে রীতিমতো শোরগোল পড়ে। সবাই অবাক, বাবা হয়ে ছেলেকে কিভাবে নিজের হাতে হত্যা করা সম্ভব!
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের গুলিস্তান-এ-জোহর এলাকার ব্লক ১১ তে। মৃত যুবকের নাম মহম্মদ সোহেল। হত্যাকারী বাবা হলেন হাজী মুহম্মদ সইদ। ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে ফজরের নামাজ পড়তে চলে যান হাজি মুহম্মদ। নামাজ সেরে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তখনও ঘুমচ্ছেন সোহেল। মাথায় রক্ত উঠে যায় তার। একটি হাতুরি নিয়ে ঘুমন্ত ছেলের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। মুহুর্তের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সোহেলের জীবন।
অভিযুক্ত জানায়, নামাজ পড়ার জন্য সে অনেকবার তার ছেলেদের বলেছিল। সবাই কথা শুনলেও অবাধ্য ছিল সোহেল। সেদিন নামাজের সময় সোহেলকে শুয়ে থাকতে দেখে দিগবিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে যায় সে। নৃশংস ভাবে হত্যা করে নিজের ঘুমন্ত ছেলেকে। ঘটনার খবর পৌঁছায় থানায়। পুলিস এসে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত পিতাকে। খুনের অস্ত্র হিসাবে একটি হাতুড়ি এবং একটি ছুরি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিস।
এরপর মুহম্মদ সোহেলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তান পুলিস। জিন্নাহ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে এই ময়নাতদন্ত হবে জানা যাচ্ছে। শাহরাহ – এ – ফয়জল থানায় হাজি মুহম্মদ সইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ক্রমেই জটিল হচ্ছে পাকিস্তানের (Pakistan) পরিস্থিতি। আর্থিক সংকটে জেরবার হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে রাজনৈতিক সমস্যাও। দরজায় একে ৪৭ নিয়ে টোকা দিচ্ছে তালিবান। মাঝেমধ্যেই পাকিস্তানের মাটি কেঁপে উঠছে বিস্ফোরণে। এরই মধ্যে, অচলাবস্থা তৈরি হয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতেই।