বাংলা হান্ট ডেস্ক : সেমিফাইনালে বিজেপির (BJP) বিধ্বংসী ব্যাটিংলাইন দেখার পরপরই নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া জোট’ (I.N.D.I.A Alliance)। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে লজ্জাজনক হারের পর মহাজোটের আত্মবিশ্বাস খানিকটা ডগমগ করে উঠেছে বলেই বিশ্বাস। তারপরেই তড়িঘড়ি করে এক বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। যদিও শীর্ষ নেতারা সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে বৈঠকের সময় পরিবর্তন করা হয়।
এদিকে, বৈঠক পিছিয়ে যাওয়ার পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বুধবার সন্ধ্যায় তার বাসভবনে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে স্ট্র্যাটেজি আলোচনা করাই নাকি ছিল উদ্দেশ্য । সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকি দলের নেতাদের। যদিও এরমধ্যে বহুজনই ছিলেন অনুপস্থিত। সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় মোট ১৭ টি দলের নেতারা উপস্থিত হলেও অনেকেই এড়িয়ে যায় এই নৈশভোজ।
যেমন, সমাজবাদী পার্টি (এসপি), ডিএমকে, জনতা দল ইউনাইটেড (জেডি-ইউ) এবং টিএমসি সহ অনেক দলের প্রতিনিধিই এইদিন অনুপস্থিত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে অখিলেশ যাদব বলেন যে তার পূর্বপরিকল্পিত অনুষ্ঠান রয়েছে। তাই তিনি এই বৈঠকে যোগ দিতে পারবেননা। ওদিকে মমতা ব্যানার্জির গলাতেও শোনা যায় একই সুর। ঐদিন তার ভাইপোর বিয়ে থাকায় তিনি সেই কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন : বার্ধক্য ভাতা নিয়ে বড় আপডেট, আজ থেকে কপাল খুলবে বৃদ্ধদের! এই জায়গাগুলিতে বসছে ক্যাম্প
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানান, অসুস্থতার কারণে তিনি বৈঠকে যোগ দিতে পারবেননা। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, ‘চেন্নাইয়ে বন্যা পরিস্থিতি, এমন পরিস্থিতিতে স্ট্যালিন তার লোকদের ছেড়ে চলে আসবেন এমন আশা করা ঠিক নয়।’ এখন দেখা যাক, আসন্ন সভায় কতজন উপস্থিত থাকেন।
আরও পড়ুন : ‘বাংলায় আমরা ক্ষমতায় এলে বুঝবেন উন্নয়ন কী’, PoK নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা শাহের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একদিকে যেখানে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্তর্কলহের চর্চা তুঙ্গে তখনই টিএমসির দাবি, সিট-বন্টন সংক্রান্ত আলোচনা দ্রুত সেরে ফেলতে হবে, অভিন্ন ঘোষণাপত্র ও ইস্তেহার চূড়ান্ত করতে হবে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এইদিন কার্যকর আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তার মতে, আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে যে এলাকায় যে দল শক্তিশালী তাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।