১০০-র বদলে লাগবে মাত্র এক টাকা! চারটি বিরল রোগের ওষুধ তৈরি করে তাক লাগাল ভারত

বাংলা হান্ট ডেস্ক : চিকিৎসা বিজ্ঞানের (Medical Science) খাতে বড় সুখবর। ৪ টি বিরল রোগের (Rare Disease) সহজ সমাধান বের করে ফেললেন ভারতীয় (India) বিজ্ঞানীরা। আগে যেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ হত এই চারটি রোগের পেছনে, এখন সেখানে খরচ লাখের গণ্ডিতেই আটকে দিল দেশীয় বিজ্ঞানীরা। সূত্র বলছে, সরকারি সংস্থার সহায়তায় ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো এক বছরে চারটি বিরল রোগের চিকিৎসার ওষুধ তৈরি করতে পেরেছে।

234470 medicines

এখন খরচ হবে ১০০ ভাগের ১ ভাগ 

জানা যাচ্ছে, এই চারটি রোগের সবকটিই মূলত শিশুদের শরীরে পরিলক্ষিত হয়। ফলে এই আবিষ্কার শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বড় একটি সাফল্য বলেও মনে করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল, কোন কোন রোগের ঔষধি বার করল ভারত (India)? আর কতই বা খরচ হবে এখন? চলুন দেরি না করে ঝটপট জেনে নিই এই গৌরবময় সাফল্যের বিস্তারিত বিবরণ।

কোন কোন রোগের ঔষধি আবিষ্কার হল?

উদাহরণস্বরূপ, টাইরোসেমিয়া টাইপ ১-এর চিকিৎসা খাতে বার্ষিক খরচ হত প্রায় ২.২ কোটি থেকে ৬.৫ কোটি টাকা। তবে এবার সেই চিকিৎসা মাত্র ২.৫ লক্ষ টাকাতেই সম্ভব হবে। এই রোগটি মূলত শিশুদের শরীরে দেখা যায়। সঠিক চিকিৎসা না হলে ১০ বছর বয়সের মধ্যেই মারা যেতে পারে আক্রান্ত শিশু। অপর একটি বিরল রোগ হল ‘গাউচার’। এতে মূলত লিভার এবং হাড় বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা যায়। এর রোগের চিকিৎসা খাতে আগে খরচ হত প্রায় বর্ষিক ১.৮ থেকে ৩.৬ কোটি টাকা। এখন সেই চিকিৎসা মাত্র ৩.৬ লক্ষ টাকাতেই করা সম্ভব।

আরও পড়ুন : বাচ্চাদের খিচুড়িতেও দুর্নীতির সাপ-ব্যাঙ-টিকটিকি? এবার মিড ডে মিল নিয়েও হবে CBI তদন্ত

drug 1668707702906 1670633502529 1670633502529

চারটি বিরল রোগের তৃতীয়টি হল উইলসন ডিজিজ, যাতে আক্রান্ত হলে লিভারে কপার জমে থাকে এবং এর ফলে মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। পূর্বে ট্রিনটিন ক্যাপসুল ছিল এর চিকিৎসা মাধ্যম। এতে খরচ পড়ত প্রায় ২.২ কোটি টাকা প্রতি বছর। এখন এই খরচ নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২.২ লাখ টাকায়। অন্যদিকে ড্রাভেট বা লেনক্সের চিকিৎসায় বছরে ৭ থেকে ৩৪ লক্ষ টাকা খরচ হত, তবে এখন এই চিকিৎসা দেড় লক্ষ টাকাতেই সম্ভব।

আরও পড়ুন : ‘চন্দ্রযান ৩’ সফল হতেই কপাল খুলে গেল, এক লাফে কোটিপতি হলেন ৬০ বছরের প্রৌঢ়! জানুন কিভাবে

প্রায় ১০ কোটি মানুষ ভুগছে এই বিরল রোগে 

মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, ১৪০ কোটি ভারতীয়র মধ্যে প্রায় ৮.৪ কোটি থেকে ১০ কোটি রোগী বিরল রোগে ভুগছেন। যারমধ্যে ৮০ শতাংশ জিনগত রোগ। এরকমই ১৩ টি বিরল রোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছিল বায়োফোর ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, লরাস ল্যাবস লিমিটেড, এমএসএন ফার্মাসিউটিক্যাল এবং অ্যাকুমস ড্রাগস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিকসের মতো সংস্থাগুলি। যার মধ্যে ৪ টির ঔষধি তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের আশা, বাকি রোগগুলির ঔষধিও তারা তৈরি করে নিতে পারবে। এতে করে চিকিৎসা খাতের খরচ অনেকটাই কমবে বলে আশা।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর