বাংলাহান্ট ডেস্ক : বহু প্রতীক্ষার পর পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) পেয়েছে তার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ইতিমধ্যেই সেই ট্রেন এসে পৌঁছেছে হাওড়ায়। গতকাল সেই ট্রেনের ট্রায়াল রান হয়েছে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত। সূত্রের খবর, আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই সূচনা হতে চলেছে বাংলার প্রথম সেমি হাই স্পিড এই ট্রেনের। তবে এর পাশাপাশি আরও একটি খবর উঠে আসছে।
জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই হয়ত আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে বাংলা। খুব শীঘ্রই উত্তরবঙ্গের ভাগ্যে হয়ত মিলতে চলেছে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিছুদিনের মধ্যেই সেই রুট ঘোষণা করতে পারে রেল। হাওড়ার পর বাংলার দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলাচল করতে পারে কোচবিহার বা আলিপুরদুয়ার থেকে।
সূত্রের খবর, রেলের তরফ থেকে ঘোষণা করা হতে পারে বাংলার দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এই ট্রেন চলাচল করবে গুয়াহাটি জংশন থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের কোনও স্টেশন পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই রেলের তরফ থেকে চিঠি দিয়ে কর্তৃপক্ষর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর মতো পরিকাঠামো এই লাইনগুলিতে রয়েছে কিনা। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই উত্তরবঙ্গের জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঘোষণা করতে পারে রেল।
রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ কত গতিতে গুয়াহাটি থেকে শিলিগুড়ির মধ্যে ট্রেন চলাচল করতে পারে এবং এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর জন্য কতটা পরিকাঠামো তৈরি হয়ে আছে সেই বিষয়ে জানতে চেয়ে রিপোর্ট দাবি করেছে রেল। কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও আলিপুরদুয়ারের সংসদ জন বারলা বহুদিন ধরে উত্তরবঙ্গে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর দাবি তুলে আসছেন।
যদিও অনেক আগেই এই রূটে একটি বন্দে ভারত ট্রেন প্রস্তাবিত করে রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জানা যাচ্ছে, ট্র্যাকের সমস্যার কারণে দেরি হতে পারে ট্রেন চলাচলের। অন্ততপক্ষে ১৩০ কিলোমিটার গতি বেগে চলতে সক্ষম এমন ট্র্যাকের প্রয়োজন হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর ক্ষেত্রে। কিন্তু বর্তমানে এই রুটের ট্রেনগুলোর গতিবে সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। সেক্ষেত্রে আপগ্রেড করার প্রয়োজন রয়েছে ট্র্যাকগুলিকে।