বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনের লক্ষ্যে সব সময় জারী থাকে ভারত (India) এবং চীন (China)। তবে বর্তমানে সেই যুদ্ধে ভারত অনেকটাই এগিয়ে গেছে। কারণ, একদিকে যেমন চীন কোন কিছুর প্রয়োজনে অন্য দেশকে হুমকি দিয়ে কাজ করে। কিন্তু অন্যদিকে ভারত অন্যদেশের সাহায্য করে তাঁদের পাশে দাঁড়ায়।
বর্তমানে উহানের করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণেই এই দুই দেশের সেই দিকগুলোই ফুটে উঠেছে। একদিনে চীন এই সংকটের সময়ে বিভিন্ন দেশকে ত্রুটিপূর্ণ মাস্ক এবং চিকিৎসা দ্রব্য রপ্তানি করছে এবং দক্ষিণী চীন সাগরে তাইওয়ান, ফিলিপিন এবং ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশের উপর আক্রমণ করে নিজের অবস্থান প্রতিনিয়ত খারাপ করে চলেছে। কিন্তু অন্যদিকে কিন্তু ভারত এই ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য মালেয়শিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দনেশিয়ায় বিভিন্ন চিকিৎসা দ্রব্য দিয়ে সাহায্য করছে।
মালেয়শিয়া এবং ভারতের মধ্যেকার ঝামেলার কথা ভুলে গিয়ে করনা ভাইরাসের মোকাবিলা করারা জন্য হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন পাঠিয়ে সাহায্য করেছে। এই বিষয়ে মালেয়শিয়ার উপবিদেশমন্ত্রী কাম্রুদ্দিন জাফার জানিয়েছেন, ‘১৪ ই এপ্রিল ভারত থেকে ৮৯১০০ টি ওষুধ মালেয়শিয়ায় রপ্তানি করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। আমরা পরবর্তীতে আরও ওষুধ চাইব ভারতের থেকে। তবে তা অবশ্যই ভারততে তাঁর উৎপাদনের উপর নির্ভর করবে’। আবার ইন্দোনেশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বাস দিয়েছিলেন, এই সংকটের মুহুর্তে ভারত তাঁদের পাশে আছে, যে কোন প্রয়োজনে তারা ভারতকে তাঁদের পাশে পাবে।
এছাড়াও ফিলিপিনে ১.৫ লক্ষ N95 এবং N88 ফেস মাস্ক দান করেছে ভারত। এই কাজ FICCI এবং ফিলিপিনে অবস্থিত ভারতের সমদায়ের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। চীন এবং ফিলিপিনের সম্পর্কের তিক্ততার মধ্যে ভারত এবং ভিয়েতনামের সম্পর্ক আরও মজবুত হচ্ছে। ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপের মাধ্যমে তারা এই সংকটের মুহুর্তে একে অপররে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্টোদিকে চীন প্রথমে এই করোনা ভাইরাসের বিষয়টাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে, বিভিন্ন ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসা দ্রব্য পাঠিয়ে মুনফা লাভ করেছে। যার ফলে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিভিন্ন দেশ।