বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের গোষ্ঠীদ্বন্দের ছায়া শাসক দলের অন্দরে। দলীয় রেষারেষির জেরে তৃণমূলের এক নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। আর তারপরেই তৃণমূলের এক প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করে তৃণমূলের অপর এক নেতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে ৭ জন তৃণমূল কর্মী গ্রেপ্তার।
জানা গিয়েছে, ভাঙড়ে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিমের বাড়িতে গুলি চালানোর পাশাপাশি বোমাবাজিও করা হয়। এই গুলি চালানোর পিছনে নাম যুক্ত হয় অপর এক তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের। এই ঘটনার ফলে গোটা অঞ্চলে চরম হইচই সৃষ্টি হয়।
সূত্রের খবর, এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে। মঙ্গলবার ভাঙড়ের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে হঠাৎ করে আক্রমণকারীরা প্রায় ১২ ডজন গুলি চালায়। এই প্রসঙ্গে করিম অর্থাৎ অঞ্চল সভাপতি বলেন যে, তিনি জানেন এই ঘটনার পিছনে আছেন তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ।
কিছুদিন আগেই কাইজার যে এসএফআই-তে যোগদান করছেন তাঁর প্রমাণ তিনি পেয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন। তাই তিনি কাইজারের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে কাইজার তার প্রতি বদলা নিতেই একাজ করেছেন বলেই অনুমান।
যদিও সৌভাগ্যক্রমে তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা বেঁচে যান তবে এলোপাথারি ভাবে গুলি চালানোর ফলে তাঁদের বাড়ির দেওয়াল, বিছানা সবকিছুর ক্ষতি হয়। এই ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ মোট ৭ জন তৃণমূল সমর্থক বা কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। যাঁর মধ্যে ৩ জন কাইজারের লোক, এবং ৪ জন করিমের।
ইতিমধ্যে করিম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং দলের সাধারণ সম্পাদকের অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে আপিল করেন যেন কাইজারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে সত্যিই এই ঘটনা কাইজার ঘটিয়েছেন কীনা তা এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে।