বাংলা হান্ট ডেস্ক: মলদ্বীপের (Maldives) নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই ভারত ও মলদ্বীপের (India-Maldives Controversy) সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিতে শুরু করে। মূলত, মুইজ্জুর চিনের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) লাক্ষাদ্বীপ সফরে যাওয়ার পরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। মলদ্বীপের মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্পর্কে এমন বিবৃতি দিয়েছেন যে যার পরে সেখানকার সরকার তাঁদের বরখাস্ত করেছে। তবে, এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। এখন বিষয় হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে এই ঝামেলার পর মালদ্বীপ নাকি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে!
মাত্র কয়েকদিন আগেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল মলদ্বীপের ক্রমবর্ধমান ঋণ নিয়ে তাদের সতর্ক করেছিল। এমতাবস্থায়, IMF-এর সামনে মালদ্বীপ নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে বলে খবর এসেছে। যেটির পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে।
দেউলিয়া হওয়ার জল্পনা কোথা থেকে শুরু হয়েছে: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “এক্স”-এ একটি পোস্টে মলদ্বীপের দেউলিয়া হওয়ার খবর সামনে এসেছে। ফ্রন্টালফোর্স নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট জানিয়েছে যে, মলদ্বীপ IMF-এর সামনে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে এবং বেলআউট প্যাকেজও দাবি করেছে। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
BIG BREAKING- Maldives has declared bankruptcy with IMF and has reportedly asked for a bailout.
— Frontalforce 🇮🇳 (@FrontalForce) February 16, 2024
মলদ্বীপ কি সত্যিই “দেউলিয়া”: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মলদ্বীপের দেউলিয়া হওয়ার খবর সামনে আসার পর মলদ্বীপের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ সাঈদ তা অস্বীকার করেছেন। সান ইন্টারন্যাশনালের এক খবরে বলা হয়েছে, মন্ত্রী মোহাম্মদ সাঈদ জানিয়েছেন, মলদ্বীপের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এমনকি, এটি প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
আরও পড়ুন: পারল না কেউ, ফের দাপট বাড়ল আদানির! গৌতমের হাতে এল ৩০ হাজার কোটির জ্যাকপট
উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই মলদ্বীপ সরকার IMF-এর কাছে সাহায্য চেয়েছে এবং তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি চালু করতে রাজি হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যই এই প্রয়াস। পাশাপাশি, মন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, কিছু মহল দেশের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটা তাদের রাজনৈতিক হতাশা।
আরও পড়ুন: থাকেন প্রচারের বাইরে, ভারতের সবথেকে বড় দানবীর মহিলা! বিলিয়ে দিয়েছেন ১১০০০০০০০০, চিনে নিন সুস্মিতাকে
তবে, মলদ্বীপের অর্থনীতি মূলত পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ পর্যটক মলদ্বীপে যান। এমতাবস্থায়, মলদ্বীপের বিকল্প হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপের প্রচার এবং তা নিয়ে মলদ্বীপ যে অস্থিরতা দেখিয়েছে তাতে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র।