ফের রাজ্যে অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা! সফর ঘিরে উত্তপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহাওয়া

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেখতে দেখতে চলেই এল সময়। হাতে আর বাকি কয়েকটা দিন। এরপরই রাজ্যজুড়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। আগামী ৮ জুলাই ভোট হওয়ার কথা জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। তারিখ ঘোষণা হওয়ার পরই প্রস্তুতিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল। মনোনয়ন–পর্ব শেষ করেই সবাই প্রচারে ঝড় তুলছে।

পিছিয়ে নেই বিজেপিও (Bharatiya Janata Party)। একের পর এক সভা–সমাবেশ করছে পদ্ম শিবির। কিন্তু সেই প্রচারে কোনও হেভিওয়েট নেতা–মন্ত্রী নেই। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তবে তাঁরা একসঙ্গে আসছেন না। তবে তারিখ এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

এরই মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের হাওয়া গরম করতে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা আদালত এবং রাজভবনের উপর বাড়তি নির্ভর করছেন। কিন্তু প্রচারে সেই তেজ আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন সব আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এরই সঙ্গে মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। তাই বঙ্গ–বিজেপির পরিকল্পনা ছিল এই দলীয় কর্মসূচিতে অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডাকে নিয়ে সভা করিয়ে পালে হাওয়া টানতে। কিন্তু তখনই পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

amit shah

এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বঙ্গ–বিজেপির উপর বেজায় চটেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বুঝতে পেরেই আর বাংলায় তাঁরা আসার উৎসাহ দেখাননি বলেই সূত্রের খবর। বরং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার দলীয় নেতাদের নিয়েই লড়াই করতে হবে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় আসবেন না। তাতে ভুল বার্তা যাবে। স্থানীয় স্তরের নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় নেতাদের আসতে হচ্ছে—এই বার্তা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই আসছেন না তাঁরা। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক পরই রাজ্যে আসতে চলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

অপরদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যখন আসবেন তখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়ে যাবে। সুতরাং দলের ফলাফল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণও করা যাবে। তখন যদি দেখা যায় ফলাফল খারাপ হয়েছে তাহলে তার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকাশ পাবে গ্রামবাংলায় সাংগঠনিক দুর্বলতাও।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর