বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরজিকর আবহে তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করেছিলেন জহর সরকার (Jahar Sarkar)। আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ত্যাগ করেছিলেন তিনি। এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন তিনি। রাখঢাক না করেই সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন তিনি প্রাক্তন দলকে।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা জহর সরকারের (Jahar Sarkar)
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য। কিছুদিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও আবারো বিকাশ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেছেন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। একাধিক বার খণ্ডযুদ্ধে বেঁধেছে পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে। শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলায় সমালোচনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। এবার মুখ খুললেন জহর সরকার (Jahar Sarkar)।
কী বললেন পদত্যাগী সাংসদ: প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘একটা সমাধান তো খুঁজে বের করতেই হবে। ২৬ হাজার শিক্ষকের জীবন নিয়ে টানাটানি চলছে। ২০১৬ সালে হয়েছিল পরীক্ষা। ১০ বছর হতে চলল। এর মধ্যে কোনো সমাধান করা গেল না?’ নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে জহর সরকার (Jahar Sarkar) বলেন, ‘আমি বিকাশ ভবনে সচিব হিসেবে কাজ করেছি। কিন্তু এমন ধরণের কথা তো কখনো শুনিনি। এই মাত্রায় দুর্নীতি, লাল টাকার পাহাড়ও কোনোদিন দেখিনি। আমার মনে হয় মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আমি ৫০ বছর আগে চাকরিতে ঢুকেছি। এমন কখনও দেখিনি’।
আরো পড়ুন : মোদীর পাশে রাহুল! বিশ্বের কাছে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে এবার বিরাট উদ্যোগ
বারবার সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের: আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূল ত্যাগ করেছিলেন জহর সরকার (Jahar Sarkar)। তারপর থেকে বারেবারে প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবারেও এসএসসি দুর্নীতিতে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে সরব হয়েছেন তিনি। জহর সরকার অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর অনুমতি না নিয়েই তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন : আইনজীবীদের চটানোর অভিযোগ, এই মহিলা বিচারপতির বিদায় সংবর্ধনা বয়কট বার অ্যাসোসিয়েশনের, জানেন পরিচয়?
তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, তৃণমূলের সদস্য হিসেবে কোনওদিনই চাঁদা দিয়ে ঢোকেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ফোন করে আসতে বলেছিলেন তাঁকে। তিনি যতক্ষণ ইতস্তত করছিলেন ততক্ষণে জানতে পারেন যে টিভি, রেডিওতে ঘোষণা করে দিয়েছে। তারপরে বাধ্য হয়েই যেতে হয় তাঁকে বলে মন্তব্য করেছিলেন জহর সরকার। নয়তো তাঁকে নানারকম কথা শুনতে হত।