বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এটিকে হয়তো কেউই অঘটন বলতে চাইবেন না। এই লড়াইটা হয়তো সকলেই জাপানের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু তারা যে জার্মানির মতো দলের বিরুদ্ধে এমন দুর্দান্ত জয় পাবেন তা হয়তো কেউই ভাবতে পারেননি।
আজকের ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করে দুই পক্ষই। প্রথমার্ধেক কিছুটা সাবধানে খেলেছে দুই পক্ষই। তার মধ্যেই জাপানি গোলকিপার গন্ডার ভুলে পেনাল্টি পায় জার্মানি। গোল করতে ভুল করেনি জার্মানির ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা তারকা মিডফিল্ডার গুন্ডগান। প্রথমার্ধে যোগ্য দল হিসেবেই ১-০ ফলে এগিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছিল জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধে জাপান আক্রমণে চাপ বাড়াতেই সুবিধা হয়ে যায় জার্মানির। জাপানের গোল লক্ষ্য করে একের পর এক বিষাক্ত জার্মান আক্রমণ হয়ে আসতে থাকে। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমদিকে জাপানের গোলরক্ষক গণ্ডা যেন নিজের ভুল শুধরে নেবেন এমনটা পণ করে খেলতে নেমেছিলেন। একাধিক সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় জার্মানি। একবার গুন্ডগানের শট পোস্টে লেগেও ফেরে।
অপরদিকে গোলরক্ষকের অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখে সেই উত্তেজনার সঞ্চার ঘটে যেন জাপানের বাকি ফুটবলারদের শরীরেও। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে জার্মানি দাপট দেখিয়ে খেললেও ৬০ মিনিটের পর থেকে জাপান আগ্রাসন দেখিয়ে নিজেদের দখলে নিয়ে আসে খেলার গতি। ম্যানুয়েল ন্যূয়ার দু একটি ভাল সেভ করেন। আক্রমণভাগে তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার তাকুমি মিনামিনোকে আমি নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে দেন জাপান কোচ হাজেমী মরিয়াসু।
নামার এক মিনিটের মধ্যেই বক্সে বিপদজনক ক্রস রাখেন মিনামিনো। জার্মান গোলরক্ষক কোনরকমে সেই ক্রসে হাত লাগালে বলটি পরে ফাঁকায় দাঁড়ানো পরিবর্ত হিসেবে নামা ফুটবলার ডোয়ানের পায়ে। সমতা ফেরাতে ভুল করেননি তিনি। জার্মানি সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আর মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যে ডিফেন্ডার ইতাকুরার লং বল অসাধারণ কায়দায় রিসিভ করে প্রজনকভাবে বক্সে ঢুকে এসে দুরহ কোণ থেকে ন্যূয়ারকে পরাস্ত করেন দেখ পরিবর্তন হিসেবে নামা ফুটবলার তাকুমা আসানো। এরপর বহু চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি জার্মানি।