বাংলা হান্ট ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে আরও শক্তি বৃদ্ধি বিজেপির (BJP)। এনডিএ জোটে (NDA) সামিল হল জনতা দল সেকুলার বা জেডিএস (JDS)। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করেন জেডিএস প্রদান এইচডি কুমারস্বামী (H. D. Kumaraswamy)। সেই বৈঠকে ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।
শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী। সেই বৈঠকেই জানানো হয় যে বিজেপি শাসিত ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সে যোগ দিচ্ছে জেডিএস। এই নিয়ে কুমারস্বামী বলেন, ‘আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো এবং এনডিএ জোটের অংশ হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। প্রাথমিক বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আমাদের পক্ষ থেকে কোনও দাবি নেই।’
এদিকে ওই বৈঠকের ছবি পোস্ট করেছেন জেপি নাড্ডা (J P Nadda), যেখানে দেখা যাচ্ছে জেডিএস প্রধানের পাশেই দাঁড়িয়েই তিনি। নাড্ডা লিখেছেন, ‘আমি খুশি যে জেডিএস এনডিএ জোটের শরিক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ওঁদের স্বাগত জানাচ্ছি। এতে এনডিএ জোট আরও শক্তিশালী হবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নতুন ভারত শক্তিশালী ভারতের লক্ষ্যপূরণ হবে।’
এই নিয়ে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন (Pramod Sawant), ‘এনডিএ জোটকে আরও শক্তিশালী করতে জেডিএস আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এনডিএ-তে যোগ দিল। আমি অভিনন্দন জানাই। সংসদীয় বোর্ড ও জেডিএস আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করবে।’
Met Former Chief Minister of Karnataka and JD(S) leader Shri H.D. Kumaraswamy in the presence of our senior leader and Home Minister Shri @AmitShah Ji.
I am happy that JD(S) has decided to be the part of National Democratic Alliance. We wholeheartedly welcome them in the NDA.… pic.twitter.com/eRDUdCwLJc— Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) September 22, 2023
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই কর্নাটকে বিধানসভা ভোট হয়েছে। যেখানে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছে কংগ্রেস (Congress)। ১৩৫টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস, অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছিল ৬৬টি আসন এবং জনতা দল (সেকুলার) পেয়েছিল ১৯টি আসন। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি এবং জেডিএস এক ছাতার তলায় আসায় আগামী লোকসভা ভোটে ওই রাজ্যের সমীকরণ অন্য হতে চলেছে। পাশাপাশি কর্নাটক বিধানসভাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।