বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বালু নিয়ে বিবাদ। রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) চিকিৎসা কোথায় হবে? এই প্রশ্নে টানাপোড়েন তো চলছিলই। এবার এই ইস্যুতে আদালতেই তুমুল বিতর্কে জড়াল ইডি ও কমান্ড হাসপাতাল। মন্ত্রীমশাইয়ের স্বাস্থ্য নিয়ে তর্কাতর্কিতে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা।
গতকাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে এই মামলায় সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে মামলাটি ওঠে। আদালতে কমান্ড হাসপাতালের আইনজীবী জানান, একদিন অন্তর মন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা (Health Examination) করাতে হয়।
কম্যান্ড হাসপাতালের আইনজীবী আদালতে জানান, “শুধু স্বাস্থ্যপরীক্ষাই নয়। চিকিৎসা করাতেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর ফলে হাসপাতালের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া আইন অনুযায়ী, বাইরের কারও এই হাসপাতালে চিকিৎসা করার অনুমতি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “কমান্ড হাসপাতাল শুধুমাত্র সেনাদের জন্য। এখানে রাজ্যপাল ছাড়া কোনও সিভিলিয়ানরা ঢুকতে পারে ন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা মিডিয়াও ঢুকতে পারে না।অন্য মামলার অভিযুক্তদের আদালত এখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।” ইডির (ED) আইনজীবী আদালতে জানান, মন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য কমান্ড হাসপাতাল (Command Hospital) ছাড়া কাছাকাছি কেন্দ্রের আর অন্য কোনও হাসপাতাল নেই। কল্যাণীর এমস যদি নিয়ে যেতে হয় তাহলে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লেগে যাবে। যেখানে আদালত রায় দিয়েছে। একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ওতো দূরে নিয়ে যাওয়াটা সমস্যার বিষয়।
আরও পড়ুন: নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে, ED-CBI কে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ইডির আইনজীবী জানায়, দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার মধ্যে বিবাদ হলে তা সমাধানের জন্য কেন্দ্রের কাছে যাওয়া হয়। তবে সেক্ষেত্রে অনেকটা সময় চলে যাবে। এরপর আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত কমান্ড হাসপাতালেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন ইডির আইনজীবী। পাল্টা এর বিরোধিতা করে কমান্ড হাসপাতাল।
সব শুনে আপাতত দু’দিন মন্ত্রীর চিকিৎসা করার জন্য কমান্ড হাসপাতালের আইনজীবীকে বলেন বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, নিম্ন আদালতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদন বিচারাধীন। মন্ত্রীর চিকিৎসার সময় কোনও সিভিলিয়ান যাতে হাসপাতালে ঢুকতে না পারে, সেই দিক দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। এখনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ফের ইডিকে এই নিয়ে সমাধান সূত্র বের করতে বলেন বিচারপতি।