ইসরোর মিশন চন্দ্রায়ণ -২ ইতিহাস রচনা করতে পারেনি, তবে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা কেবল দেশ নয় বিদেশ থেকেও সন্মান অর্জন করেছেন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) চাঁদের দক্ষিণে অবতরণের আগেই চন্দ্রায়ণ -২ এর ল্যান্ডারের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিল। ডিডি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ISRO প্রমুখ কে সিভান বলেন – আমরা বিক্রম ল্যান্ডারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। সামগ্রিকভাবে চন্দ্রায়ণ 2 মিশন 100% সাফল্যের খুব কাছাকাছি।
ল্যান্ডার বিক্রম 2 সেপ্টেম্বর অর্বিটার থেকে পৃথক হয়েছিলেন। শনিবার ভোর দেড়টায় বিক্রমের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল। পরে এর সময় পরিবর্তন হয় সকাল 1.45 এ। ল্যান্ডার খুব আরামে নেমে আসছিল। ল্যান্ডার সাফল্যের সাথে তার মোটামুটি ব্রেকিং পর্বটি সম্পন্ন করে একটি ভাল গতিতে চন্দ্র পৃষ্ঠের দিকে এগিয়ে চলেছিল। এর পরে, হটাৎ পৃথিবীর সাথে তার যোগাযোগ ভেঙে যায়। খবর এও আসছে যে, লান্ডার মাটিতে ক্র্যাশ করেনি। কারণ অর্বিটার ও ল্যান্ডারের মধ্যে কমিউনিকেশন চ্যানেল এখনও অন আছে। ল্যান্ডার ক্র্যাশ হলে অর্বিটারের সাথে কমিউনিকেশন চ্যানেল অন থাকতো না।
Indian Space Research Organisation (ISRO) Chief, K Sivan: In total, the #Chandrayaan2 mission is very close to 100% success. (Courtesy: DD) pic.twitter.com/CQULoiDcRO
— ANI (@ANI) September 7, 2019
তবে 978 কোটি টাকা ব্যয়ে এর চন্দ্রায়ণ 2-এর মিশন এখনও শেষ হয়নি। জানিয়ে দি, চন্দ্রায়ণ -২ এর তিনটি অংশ ছিল – অরবিটার, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞা। যদিও ল্যান্ডার বিক্রম যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে, তবুও অরবিটরের কাছ থেকে আশা রয়েছে। এক বছরের মিশনের সময়কালীন একটি কক্ষপথ চন্দ্রের বেশ কয়েকটি ছবি ইসরোতে পাঠাতে পারবে। তিনি এখনও চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে ১১৯ কিমি থেকে 127 কিমি এর উচ্চতায় ঘুরছে। এর ওজন 2379 কিমি। হয়। এটিতেও 8 টি পেড রয়েছে