বাংলাহান্ট ডেস্ক: শিখ সম্প্রদায়কে ‘খালিস্তানি জঙ্গি’র আখ্যা দেওয়ায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল কঙ্গনা রানাওয়াতের (kangana ranawat) নাম। দিল্লি শিখ গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি তাঁর বিরুদ্ধে পুলিসে দায়ের করে অভিযোগ। এতদিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি কঙ্গনা। এবার পালটা আঘাত হানলেন পর্দার ‘লক্ষ্মীবাঈ’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লম্বা চওড়া পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি, যার মোদ্দা কথা হল, তাঁর খালিস্তানি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যারা যারা তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে তিনি এফআইআর দায়ের করেছেন। পোস্টে সঙ্গে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির দর্শনেরও কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।
হিন্দিতে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘মুম্বইয়ের জঙ্গি হামলায় শহিদদের স্মরণ করে আমি লিখেছিলাম যে বিশ্বাসঘাতকদের কখনো ক্ষমা না করতে আর না ভুলতে। এই ধরনের ঘটনায় দেশের মধ্যেকার গদ্দার, দেশদ্রোহীদের ভূমিকা থাকে। টাকা ও ক্ষমতার জন্য ভারতমাতাকে কলঙ্কিত করতে একটি সুযোগও ছাড়ে না গদ্দাররা। দেশের মধ্যেকার এই বিশ্বাসঘাতকরা দেশদ্রোহী শক্তিগুলিকে ষড়যন্ত্র করতে সাহায্য করে, যে কারণে এই ধরনের ঘটনাগুলি ঘটে।’
এই বিষয়গুলি সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলার জন্য খুনের হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন কঙ্গনা। ওই পোস্টেই তিনি লিখেছেন, ‘আমি ক্রমাগত হুমকি পেয়ে চলেছি। ভাতিণ্ডার এক ব্যক্তি প্রকাশ্যেই আমাকে খুনের হুমকি দিয়েছে। তবে আমি এসব হুমকিতে ভয় পাই না। যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে আমি সবসময় সুর চড়াই। সেটা নক্সালরাই হোক যারা নিরীহ জওয়ানদের সত্যা করে বা টুকরে টুকরে গ্যাং হোক বা সেই জঙ্গিরা যারা দেশের বাইরে বসে স্বপ্ন দেখছিল যে পঞ্জাবকে ভেঙে খালিস্তান বানাবে।’
https://www.instagram.com/p/CW4pgOso0gk/?utm_medium=copy_link
কংগ্রেসের অধ্যক্ষা সোনিয়া গান্ধীকে কঙ্গনা আবেদন করেছেন তিনি যেন পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারকে নির্দেশ দেন এই হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কঠৌর ব্যবস্থা নিতে। তিনি লিখেছেন, ‘আপনিও একজন মহিলা। আপনর শাশুড়ি মা ইন্দিরা গান্ধীজি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।’ এখানেই না থেমে তিনি আরো লিখেছেন, ‘আমার একান্ত অনুরোধ, নির্বাচন জেতার জন্য নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে হিংসা ছড়াবেন না।’