বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফের একবার ‘মুভি মাফিয়া’দের উদ্দেশে তোপ দাগলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)। তিনি এসব মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব হন বলে যেকোনও সময় তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন কঙ্গনা।
কঙ্গনার টিমের তরফে ‘মাফিয়া’দের নায় নিয়ে একটি টুইট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘আমার বন্ধুরা হয়তো আমার কথাবার্তা ভিত্তিহীন মনে করবে। বেশিরভাগ সময়ে আমি মুভি মাফিয়া, তাদের অনৈতিক, হিন্দুত্ববাদী চক্রকে উদ্দেশ্য করে সরব হই। কিন্তু আমি জানি আমার সময় সীমিত। ওরা যেকোনও সময় আমার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দিতে পারে। আমার অনেক কিছু বলার আছে। এই সময়টা আমি ওদের ফাঁস করার কাজেই লাগাব।’
https://twitter.com/KanganaTeam/status/1295202939871440898?s=19
তবে এই টুইটে কারওর নাম উল্লেখ করেননি কঙ্গনা। সুশান্ত মামলার প্রথম থেকেই বলিউডের বিভিন্ন হেভিওয়েট তারকা ও রাঝনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে কঙ্গনাকে। ভয় পেয়ে কোনও দিনই পিছিয়ে আসেননি তিনি। ভবিষ্যতেও এভাবেই সত্যিটা সকলের সামনে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, এর আগে কঙ্গনার মানালির বাড়ির সামনে রাত ১১টা নাগাদ গুলির আওয়াজ শোনা যায় বলে অভিযোগ করা হয়। কঙ্গনা দাবি করেন, তাঁর মুখ খোলার জন্য এভাবে ভয় দেখানো হয়েছে তাঁকে।
এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানান, রাত ১১টা নাগাদ মানালির বাড়িতে নিজের শোবার ঘরে ছিলেন তিনি। তখনই গুলির আওয়াজ শুনতে পান তিনি। আট সেকেন্ডের মধ্যে ২ বার গুলির আওয়াজ শোনা যায়। তৎক্ষণাৎ নিরাপত্তরক্ষীকে বিষয়টি দেখতে বলেন অভিনেত্রী।
তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের বিষয়ে মন্তব্য করার জন্যই এমনটা হয়েছে। এর আগে ওই জায়গায় এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলেও জানান কঙ্গনা।
প্রসঙ্গত, এর আগে জানা গিয়েছিল সুশান্তের মৃত্যুর আগের রাতের পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন এক রাজনৈতিক নেতার ছেলে। যে কারনে মুম্বই পুলিস তদন্তে ঢিলে দিতে পারে বলে সন্দেহ করছে বিহার পুলিস। খবর অনুযায়ী, ওই রাজনৈতিক নেতার ছেলে সুশান্তের অ্যাপার্টমেন্টে আসার আগে থেকেই কাজ করা বন্ধ করে দেয় সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি।
এই প্রসঙ্গে বড়সড় ঘোষনা করেন কঙ্গনা রানাওয়াত। অভিনেত্রীর ডিজিটাল টিমের মাধ্যমে টুইটারে ওই রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম না নিয়ে একটি টুইট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘সবাই ওঁর নাম জানে কিন্তু কেউ সেই নাম উচ্চারণ করবে না। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে এবং করন জোহরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সবাই তাঁকে বেবি পেঙ্গুইন বলে ডাকে। কঙ্গনা বলেন, এবার যদি তাঁকে বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাহলে বুঝবেন তিনি আত্মহত্যা করেননি।’