বাংলাহান্ট ডেস্ক: আবারো বেকায়দায় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) বিরুদ্ধে নিরন্তর আক্রমণের জেরে সাসপেন্ড করা হল তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট। বাংলায় নির্বাচনের ফল বেরোনোর আগে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের নিশানা বানিয়েছিলেন কঙ্গনা। অতি সম্প্রতি মমতাকে ‘গুন্ডা’ ও ‘দানব’ বলেও আক্রমণ করেছিলেন অভিনেত্রী। এরপরেই সাসপেন্ড হয়ে যায় তাঁর অ্যাকাউন্ট।
নির্বাচনের ফল বেরোনোর আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে কঙ্গনা টুইট করেন, ‘বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে বড় শক্তি। ট্রেন্ড থেকেই বোঝা যাচ্ছে হিন্দুরা আর ওখানে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় নেই। আর তথ্য অনুযায়ী বাঙালি মুসলিমরা গোটা ভারতের মধ্যে সবথেকে বেশি দরিদ্র ও বঞ্চিত। ভাল, আরো একটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।’
এখানেই শেষ নয়। প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে বিজেতা ঘোষনা করা হলেও শেষ মুহূর্তের গণনায় মমতাকে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এটা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কঙ্গনা। উপরন্তু তিনি আরো বলেছেন ২০১৬র তুলনায় এবারে বাংলায় বিজেপি অনেক বেশি আসন পেয়েছে।
এরপর সম্প্রতি বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন কুইন অভিনেত্রী। নির্বাচনের পরে বীরভূমের নানুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে টুইট করেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে নিরাপত্তা দাবি করে তিনি লেখেন, বিজেপি কর্মীদের উপর প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা করা ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে বাঁচতে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ মাঠে নেমে এসেছে।
এই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতেই কঙ্গনা পালটা লেখেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর। গুন্ডাইকে মারার জন্য আমাদের সুপার গুন্ডাই প্রয়োজন। উনি একজন ভয়াবহ দানবের মতো। তাঁকে আটকানোর জন্য ২০০০ সালের প্রথম দিকের বিরাট রূপটা দেখান মোদীজি।’ এরপরেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট।