বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারত হল সর্বভৌমত্বের (Secular India) দেশ। এখানে বৈচিত্রের মধ্যেই রয়েছে একতা। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সব ধর্মের মানুষকেই সমান অধিকার দেওয়া হয়। সব ধর্মের মানুষই মিলে মিশে থাকেন। তাঁরা একে অপরের উৎসবেও যেমন সামিল হন, বিপদের দিনেও পাশে থাকেন। তাই মাঝে মধ্যেই সম্প্রীতির এক একটি নজির উঠে আসে সকলের সামনে।
তেমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনাটি কর্ণাটকের। সম্প্রতি একটি সর্বধর্ম সম্মেলনের আয়োজন করা হয় কর্ণাটকের বিজয়পুর জেলার মুদ্দেবিহাল শহরে। সেখানেই এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে এক মুসলিম বালক। সে নির্দ্বিধায় এবং অনায়াসে পাঠ করে গিয়েছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ভগবত গীতার অংশ। এই ঘটনায় ওই বালককে অভিনন্দন জানিয়েছেন সকলে।
জানা গিয়েছে, ওই সর্ব ধর্ম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ফারহান আল্লাবক্স। সেখানেই সে অনায়াসে ভগবত গীতার সংস্কৃত শ্লোক পাঠ করে গিয়েছে। উপস্থিত থাকা দর্শকের ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে ফারহান। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাইসোরের জ্ঞানপ্রকাশ স্বামীজি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক সিএস নরগৌড় আপ্পাজি, ডঃ চেন্নাবীর গোড়ু প্রমুখ।
সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা দিতে আয়োজন করা হয়েছিল ওই সর্বধর্ম সম্মেলনের। সেখানে ভিন্ন ধর্মী ফারহানের হিন্দু ধর্মের গ্রন্থ পাঠ স্বাভাবিক ভাবেই নজর কেড়েছে মানুষের। সকলেই ফারহানকে তাঁর এই কাজের জন্য বাহবা দিয়েছেন। অন্য ধর্মের হয়েও হিন্দু ধর্মের ভগবত গীতা আপন করে নেওয়ায় ফারহানের প্রশংসা করা হচ্ছে দেশজুড়ে।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মঞ্চে বসে ফারহান অনায়াসেই গীতা পাঠ করে যাচ্ছে। ভারতে বরাবরই সর্ব ধর্মকে সমান চোখে দেখে সকলকে নিয়ে চলার কথা বলা হয়। তেমনটা লেখা রয়েছে দেশের সংবিধানেও। এছাড়াও একাধিক বার একাধিক মহাপুরুষও একই কথা বলে গিয়েছেন। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস হোক বা স্বামী বিবেকানন্দ। সবাই বলেছেন ঈশ্বর একজনই। তাই ভিন্ন ধর্ম হলেও সেও একই জনের আরাধনা করছে। কর্ণাটকের ঘটনায় তা আরও একবার উঠে এল।