বাংলা হান্ট : গতকাল সাংসদে ঐতিহাসিক বিল পাস করল মোদি সরকার প্রায় ৭০ বছর ধরে কাশ্মীর ভারতের মধ্যে থেকেও দেশ বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল এবং কাশ্মীর এর সার্বিক উন্নয়ন সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হচ্ছিল। এবার ইতি টানলো মোদি সরকার।
আর্টিকেল ৩৭০এবং ৩৫এ এই দুটি ধারা প্রয়োগ সুযোগে কাশ্মীরে একনায়কতন্ত্র চলছিল। সে রকম কোনো উন্নয়ন এখানে হয়নি কিন্তু দ্বিতীয় বার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে তাদের এজেন্ডা ছিল তারা ক্ষমতায় আসলে কাশ্মীরকে শান্ত করবেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। গতকাল তারা যে বিল পেশ করেছে এই বিলের মধ্যে সারা ভারতবর্ষে বিভিন্ন রাজ্য গুলো যেমন ভাবে উন্নয়ন হয় ঠিক তেমন ভাবেই এই কাশ্মীরে উন্নয়ন হবে।
জম্মু ও কাশ্মীর কে কেন্দ্রশাসিত এবং লাদাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করল। এখন দেখার বিষয় এর ফলে কি সত্যি শান্তি ফিরবে কাশ্মীরে? বিজেপির পক্ষ বিপুল সমর্থন নিয়ে বিলটি পাস করে, ভারতবর্ষে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করেন পরে।
গতকাল থেকে কাশ্মীরের শান্তি ফেরানোর জন্য আজ থেকে শান্তি করার জন্য পুরোদমে কাজ শুরু করল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং ১৪৪ধারা জারি করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া যারা সাম্প্রতিককালে দেশ বিরোধী কথাবার্তা বলেছে তাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে, ফলে কাশ্মীরকে যদি মডেল করে মোদী সরকার। তাহলে কাশ্মীরের মতো ভারতবর্ষের ছোট ছোট জায়গা আছে সেগুলো শান্ত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কারণ ভারতবর্ষের সবথেকে বড় সমস্যা কারণ ছিল এই কাশ্মীর। এই কাশ্মীরকে হাতিয়ার করে বার বার ভারতীয় সৈন্যদের হত্যা করেছে পাকিস্তান এবার পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে তৈরি হচ্ছে ভারত। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের পাঁচটি দেশ কে এই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। আমেরিকা, রাশিয়া, চীনকে এ বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই বিষয়ে কঠোর মনভাব নিয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন ভারতবর্ষের আইন পাস বেআইনিভাবে করা হয়েছে, তারা এই বিষয় আইনি সাহায্য নেবে কিন্তু তা মানতে নারাজ ভারত। জঙ্গিমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে এবং যদি কেউ দেশবিরোধী কথা বলে তাহলে তাদের সন্ত্রাসবাদি তকমা দেওয়া হবে এর ফলে যদি ভারত বিরোধী কথাবার্তা বলতে কেউ সাহস দেখাবে না।
ইতিমধ্যে অমিত শাহ আরো জানিয়েছেন সারাদেশে তারা এনআরসি চালু করবেন যদি না চালু করে তাহলে তারা সঠিক ভারতীয় তারা সঠিক ভাবে পরিষেবা সরকারি পাবে না এবং যারা ভারতে নাগরিক নয় তাদের দেশ থেকে চলে যেতে হবে অর্থাৎ যারা দেশ বিরোধী কথাবার্তা বলছো তাদের কাছে মুখ্য জবাব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে কাশ্মীরে কোন পাথর ছোড়া হচ্ছে না বা কোন সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি হচ্ছে না বরং এই আইন লাগু হবার পর কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছে কিন্ত কাশ্মীর ইতিমধ্যে স্কুল কলেজ বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাল থেকে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা হবে কোথাও অস্ত্র থাকলে গ্রেপ্তার করা হবে।