বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল সাত সকালে লাদাখে ঘটে যায় এক ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা। লাদাখের তুরতুক সেক্টর এলাকায় 26 জন সেনা জওয়ান ভর্তি গাড়ি খাদে পড়ে যাওয়ার কারণে তৎক্ষণাৎ সাত জনের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে একজন বাঙালি জওয়ান ছিলো বলে জানা যাচ্ছে। মৃত জওয়ান বাপ্পাদিত্য ঘুটিয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের বাসিন্দা। তাঁর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই গোটা এলাকায় শোকের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল 26 জন সেনা ভর্তি একটি গাড়ি পারতাপুরের ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে হানিফ সাব সেক্টরের দিকে রওনা দিয়েছিল আর সেই সময় আচমকাই গাড়িটি রাস্তা থেকে প্রায় 50-60 কিলোমিটার নিচে শ্যাওক নদীতে পড়ে যায়। এই ঘটনায় তৎক্ষণাৎ 7 জন সেনার মৃত্যু হয় এবং বাকিরা গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে, মৃত সেই সাত জওয়ানের মধ্যে একজন বাঙালি বলেও জানা যায়।
প্রসঙ্গত, মৃত জওয়ান বাপ্পাদিত্য 2009 সালে যোগ দেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। প্রথমে গুজরাটে কর্মরত থাকলেও পরবর্তীকালে তাঁকে সিয়াচেনে পোস্টিং দেওয়া হয়। পরিবার সূত্রে খবর, গত এপ্রিল মাসের 27 তারিখ ছুটি কাটিয়ে সিয়াচেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাপ্পাদিত্য। তবে গতকাল তাঁর জন্য যে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা অপেক্ষা করে রয়েছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি। মৃত সেনা জওয়ানের পরিবারে মা, বাবা, স্ত্রী এবং 11 মাসের এক শিশু কন্যা রয়েছে বলে খবর।
বাপ্পাদিত্য ঘুটিয়ার মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই বর্তমানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা খড়গপুর এলাকায়। স্বভাবতই, ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। মৃত জওয়ানের মা এদিন বলেন, “ছেলের মৃত্যু কি কখনো মা হয়ে সহ্য করা যায়! তার মধ্যে আমার ছেলের বয়স খুবই অল্প ছিল। আমি বারবার করে বলেছিলাম, ওখানে যাস না। কিন্তু আমার কথা শুনল না। ডিসেম্বর মাসে বাড়ি ফিরে ঘর বানানো কথা জানিয়েছিল আমাকে, কিন্তু এখন আমার ছেলেটা আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল।”