বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বমি করতে করতে মৃত্যু ১৩টি শকুনের। ঘটনাটি ঘটল রাজগঞ্জে(rajganj)। তারপর থেকেই করোনা (corona) সন্দেহে ছড়ালো আতঙ্ক। মৃত শকুনগুলির দেহ গুলিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
সূত্র মারফত জানা গেছে , রাজগঞ্জের করোতোয়া নদীর ধারে পড়েছিল কয়েকটি মৃত শুকরের দেহ। গতকাল থেকেই সেখানে ভিড় করতে থাকে শকুনের দল। কিছু লোকের চোখে আসে যে শকুনের দল মৃত শুকরের দেহ খুবলে খাচ্ছে। বেলা গড়ানোর পর দেখা যায় শকুনের দল উড়তে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীরা কাছাকাছি গিয়ে দেখে শকুন গুলি বমি করেছে। মৃত্যু হয়েছে ১৩টি শকুনের। করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে , দেহ গুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। শুকরের দেহ খেয়েই শকুন মারা গেছে তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। কারণ শুকরের দেহ শিয়াল , কুকুরেও খেয়েছিলো কিন্তু তাদের মৃত দেহ পাওয়া যায়নি। তাই রিপোর্ট না এলে কিছুই নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না মৃত্যুর আসল কারণ কি ?
উলেক্ষ কিছুদিন আগে আমেরিকাতে (america) চিড়িয়াখানার বাঘের দেহে করোনা পসিটিভ পাওয়া যায়। সেখান থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিলো। শকুনের মৃত্যু থেকে সংক্রমণের আতঙ্ক বহুগুন বাড়লো। তাহলে কি করোনা মানব শরীর থেকে পশুপাখীর দেহে সংক্রামিত হতে শুরু করেছে ? উত্তর মিলবে রিপোর্টে ।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। মনে করা হচ্ছে চিনে বাদুড় বা প্যাঙ্গোলিনের মাংস থেকেই মানব শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এরইমধ্যে সামনে এসেছে নিউ ইয়র্কের চিড়িয়াখানায় বাঘের শরীরে করোনার সংক্রমণের খবর। এবার যদি শকুনের মৃত্যুর সঙ্গে করোনার সংক্রমণের যোগ পাওয়া যায়, তবে আতঙ্ক যে চতুর্গুণ বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। মানুষের থেকে পশুপাখির দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ালে তা ভয়াবহ আকার নেবে। একথা ভেবেই আতঙ্কে শিউরে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা।