বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতির (COVID-19) জন্য সমগ্র বিশ্বে এখন আর্থিক সংকট চলছে। আর এর মধ্যেই চীনকে (China) এক বিরাট পরিমাণ আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হতে হল। চীন একটি লং মার্চ রকেট বানিয়েছিল। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল এই রকেটের মাধ্যমে তারা মঙ্গল গ্রহে এবং চাঁদে পাড়ি দেবে। তৈরি করার পর সবরকম পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয়েছিল এই রকেটের উপর। কিন্তু আসল সময়ে অর্থাৎ এই রকেটকে যখন মহাকাশে পাঠানো হল, একমাসের মধ্যেই দুবার এই রকেট ক্রাশ খেয়ে যায়। যার ফলে চীন এখন প্রবল ক্ষতির মুখোমুখি।
প্রথমবার যখন এই রকেট ভেঙ্গে গিয়েছিল, তখন সেটি চীনের উপগ্রহ নিয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু এবার এই রকেট ইন্দোনেশিয়ার উপগ্রহ নিয়ে যাচ্ছিল। চীন চেয়েছিল এই হেভি ওয়েট রকেটের মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় সব দেশের উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে। যাতে করে তাঁদের অনেক মুনফা লাভ হয়। এইভাবে তারা ভারতের ক্ষতি করে ইসরোর কনট্রাক্ট নিয়ে নিতে চেয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠছে।
চীন অন্য দেশের ফর্মুলা হরণ করে রকেট বানায়, এই অভিযোগ বহুবার উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। সেই কারণে আমেরিকা চীনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিল, যে আমেরিকার উপগ্রহ চীনের কোম্পানির দ্বারা নির্মিত রকেটে মহাকাশে পাঠাবে না। আমেরিকার উপগ্রহ সাধারণত নাসা বা ভারতের তৈরি রকেট মারফত মহাকাশে পাঠায়।
এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও বহুবার চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে অন্য দেশের ফর্মুলা হরণ করার বিষয়ে। সেই কারণে চীন টেকনলজির বিষয়ে বিশদে কিছু বলতেও পারে না। চীন যে পরিমাণ অর্থ এই রকেট তৈরিতে ব্যয় করেছে, অন্য কোন দেশ হলে নিজে থেকে ফর্মুলা বানিয়ে সেই রকেট মহাকাশে পাঠাত। চীন তাঁদের একটা মিথ্যে লোকাতে গিয়ে, এখন একশোটা মথ্যে বলছে।
ইন্দোনেশিয়া তাঁদের মূল্যবান উপগ্রহ চীনের উপর ভরসা করে তাঁদের রকেট মারফত মহাকাশে পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার সেই আশা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। ভারতেও রকেট তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই সময় ইন্দোনেশিয়াকে বুঝিয়ে চীন তাঁদের উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর জন্য রাজি করিয়েছিল।