বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে টিকাকরণে পদাধিকারীদের কোনও অগ্রাধিকার থাকবে না। নিজেদের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে যেন কোনও নেতা, মন্ত্রী করোনার টিকা নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি না করেন। আগে প্রতিটি করোনা যোদ্ধাদের সমান ভাবে মর্যাদা দিয়ে টিকা দেওয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে করোনার ভ্যাকসিন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সতর্কতা কে মানে?
আজ পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূল নেতা, বিধায়কদের মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি চোখে পড়ল। আজ পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল এবং প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা ক্ষমতার জোরে করোনার টিকা নিয়েই নিলেন। এছাড়াও কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও ঠিক একই কাজ করলেন। যদিও সাফাই হিসেবে পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য। হাসপাতালের সুখ দুঃখে এনারা পাশে থাকেন। তাই এনারা করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য।
এছাড়াও আজ টিকা নেন, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জওহর বাগদি এবং জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহেন্দ্র হাজরা। এছাড়াও টিকা নেন পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল নেতা বাসুদেব যশ। এনাদের মধ্যে শুধুমাত্র মহেন্দ্র হাজরাই ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য। কিন্তু বাকি দুজন শাসক দলের নেতা ছাড়া কিছুই নন। তাহলে দেশের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য বরাদ্দ টিকা এনারা কি করে নিলেন? সেটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আজ করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল জানান, ‘আমি টিকা নিয়েছি, আমার কোনওরকম অসুবিধে হচ্ছে না। আমি সবাইকেই টিকা নেওয়ার কথা বলব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেবেন বলেছেন, আপনারা সবাই টিকা নেবেন।” আরেকদিকে ভাতারের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বলমালী হাজরা বলেন, ‘আমি ভাতার সমেত সমগ্র রাজ্যবাসী আর দেশবাসীকে করোনার টিকা নিতে বলার জন্যই আজ টিকা নিলাম।”