বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ করা হয়েছিল কুকুরের দেখভাল করার জন্য, কিন্তু তার সাথে যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে তা কখনোই টের পাননি বাড়ির মালকিন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বারাসাতে। পুলিশ সূত্রের খবর প্রায় মাস ছয় আগে বারাসাতের গেট এলাকার এক যুবতী ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেন তার একটি কুকুর দেখাশোনা করার জন্য লোকের প্রয়োজন। সেই বিজ্ঞাপনটি দেখে যুবতীর সাথে যোগাযোগ করেন শীতলদীপ জৈন নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানান তার বাড়ি উত্তরাখন্ডে।
শীতল আরো জানান তার বাড়ি উত্তরখান্ডে হলেও তার মামার বাড়ি হুগলি জেলার সাহাগঞ্জ এলাকায়। এছাড়াও শীতল যে পশ্চিমবঙ্গের একজন ভোটার তাও জানান যুবতীটিকে। এরপর যুবককে দেখে পছন্দ হওয়ায় তার বাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন শীতল। তার সাথে চলতে থাকে বাড়ির কুকুরদের দেখাশোনার কাজ। ভালো ব্যবহার ও কাজের মাধ্যমে ক্রমেই বাড়ির যুবতী ও তার মায়ের মন জয় করে ফেলেন বছর পঁচিশের শীতল।
এরই মধ্যে মালকিনের সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয় এই যুবকের। সেই সম্পর্ক ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রেমে। সেখান থেকে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। এরপর হঠাৎই ওই মহিলাটি সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েন। এই ঘটনা শীতল জানতে পারলে রুপ বদলে যায় তার। এরই মধ্যে হঠাৎ একদিন ওই মহিলার পায়ের ব্যথা হওয়ায় ওষুধ খাওয়ার অছিলায় শীতল তাকে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ান বলেও অভিযোগ। এর ফলে নষ্ট হয়ে যায় গর্ভের সন্তান। ঠিক এই ঘটনার পরেই গত ২৮ জুন থেকে উধাও উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা পরিচয় দেওয়া যুবকটি।
অভিযোগ, এই ঘটনার পরে শীতলের মামা ও তার বাবা-মা এসে মহিলাকে মারধরও করেন। এ বিষয়ে শীতল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। কিন্তু ওই মহিলার অভিযোগ চন্দননগর পুলিশ এই বিষয়ে তাকে কোনরকম সাহায্য করেনি। অবশেষে ওই মহিলা চন্দননগর কমিশনারেটের দ্বারস্থ হয়েছেন।