বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহামারী কালে অসুস্থ পরিবেশের মধ্যেই দিনে দিনে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। মাথাচাড়া দিচ্ছে খুন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ। সামাজিক এই অবক্ষয়ের মুখে পড়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা। অন্য দিকে অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন এলাকার মানুষজন। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা।
জানা গেছে নির্যাতিতা ওই মহিলার বয়স ৪৫ বছর।বাপের বাড়িতে থেকেই ভাইয়ের ব্যাবসার কাজে সাহায্য করেন তিনি। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর তাঁর ভাই প্যাকেট জাত দুধের ব্যাবসা করেন। সেই দুধের প্যাকেট বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রির কাজ করেন ওই মহিলা।
তাই রোজকার মতোই শনিবার ভোরেও সেই দুধের প্যাকেট বিক্রির কাজে বেরিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু তাঁর পরিবারের অভিযোগ, এদিন ভোরে মহিলা যখন মহেশতলা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর-সন্তোষপুর রোড সংলগ্ন এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন একটি গাড়ি থেকে কয়লা খালি করছিল চার অভিযুক্ত ব্যক্তি।
অভিযোগ সেই সময় একেবারে কাকভোরে ফাঁকা রাস্তায় মহিলাকে একা পেয়ে জোর করে গণধর্ষণ করে ওই চার অভিযুক্ত। এখানেই শেষ নয় মহিলার ওপর পাশবিক অত্যাচার করার পর তাঁকে প্রাণেও মেরে ফেলার চেষ্টা করে তারা। আর সেই উদ্দেশ্যেই তাঁরা নির্যাতিতা মহিলার মাথায় বেলচা দিয়ে আঘাত করে। এরপর ওই মহিলা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে সেই অবস্থাতেই তাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পরে স্থানীয়রাই অর্ধনগ্ন অবস্থায় নির্যাতিতাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। তারাই ওই মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকায় পরে সেখান থেকে তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।অন্যদিকে নির্যাতিতার ভাই ইতিমধ্যেই মহেশতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।