বাংলা হান্ট ডেস্ক : মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) বিতর্কে ঘি ঢাললো তিন বছরের হেনরি (Henry)। প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড জয় অনন্ত দেহাদরাই (Jay Anant Dehdrai) বিষ্ফোরক অভিযোগ আনলেন মহুয়ার বিরুদ্ধে। তিনি বললেন, মহুয়া তার হেনরিকে কিডন্যাপ করে রেখেছেন। এমনকি হেনরিকে নিয়ে নাকি মহুয়া দর কষাকষিও শুরু করেছেন বলে খবর। তিনি নাকি শর্ত রেখেছেন, হেনরিকে তিনি তখনই ছাড়বেন যখন সিবিআইয়ের থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে।
যদিও এর আগে মহুয়া জানিয়েছিলেন, হেনরির সাথে জয় অনন্তর কোনও সম্পর্ক নেই। সে নাকি তার দিল্লির বাংলো থেকে হেনরিকে চুরি করে এনেছিল। এবং এটা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়ে রেখেছেন তিনি। উল্লেখ্য, মহুয়ার বয়ফ্রেন্ড জয় অনন্ত পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত। বেশ লম্বা সময় ধরে সম্পর্কে ছিলেন তারা। তবে বেশ কিছুদিন হল আলাদা রয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন : ‘ছেলেদের গায়ে হাত, মুখে চুমু…’, নন্দিনী দিদিকে নিয়ে বিষ্ফোরক অভিযোগ মিষ্টি দিদির
অনেকেই হয়ত জানেন, এই জয় অনন্তই জানিয়েছিলেন যে, শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা এবং দামি দামি উপহার নিয়ে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় মহুয়া মৈত্র এবং শশী থারুরের ঘনিষ্ঠ ছবি। বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। আর তার মাঝেই সামনে এল হেনরির প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন : ফুচকা দিয়েই প্যান্ডেল বানিয়ে ফেললেন দুই বিদেশী! নয়া চমক নিয়ে হাজির বাংলার এই পুজা মণ্ডপ
গত শুক্রবার জয় অনন্ত জানান, হেনরিকে তিনি নিজে কিনেছিলেন। তার এই কুকুরের দাম ছিল প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। মোট দুটি কিস্তিতে এই টাকা মিটিয়েছিলেন তিনি। প্রথমে ১০ হাজার এবং পরে ৬৫ হাজার টাকা পে করেন। হেনরিকে কেনার রশিদও নাকি রয়েছে তার কাছে। তিনি প্রকাশ্যে এনেছেন কেনেল ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট। তাতে দেওয়া রয়েছে বার কোড ও মাইক্রো চিপের ডিটেলস।
এই প্রসঙ্গে জয় বলেন, “হেনরি সঙ্গে আমার সন্তান-অভিভাবকের বন্ধন। ওর যখন চল্লিশ দিন বয়স তখন থেকে ওকে দেখভাল করছি। ওর সবরকম দরকার, আবদার আমিই বুঝি।” যদিও মহুয়া বলেছিলেন, জয় নাকি জোর জবরদস্তি হেনরিকে নিজের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তবে জয় অনন্তের কাতর আর্জি, “আমি হাতজোড় করে মহুয়াকে বলতে চাই যে হেনরিকে তার আইনি অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমাকে আমার কুকুর ফিরিয়ে দিক।”