বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুধবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এদিন কার্যতই রণংদেহী মূর্তিতে দেখা গেল তাঁকে। এই প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন তিনি। ঝাড়গ্রামে গিয়ে দল এবং প্রশাসনিক কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পেয়ে কার্যতই ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কার্যতই একঝুড়ি নালিশ ঠোকেন জেলা পরিষদের ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। বলাই বাহুল্য, এই অভিযোগ আগেই এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। ফলে সব মিলিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকেই মারাত্মক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মমতা৷ অভিযোগ ওঠে যে জেলা পরিষদের পূর্ত বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ শুভ্রা মাহাতো এবং জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্ত পূর্ত বিভাগের টেন্ডারে কারসাজি করছেন। এই অভিযোগ শুনেই প্রচন্ড রেগে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আর কত খাবেন? তৃণমূল এত দিতে পারবে না। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখবেন জেলাশাসক। ‘ তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এবার কি হীরের চচ্চড়ি নাকি সোনার ডালনা খাবেন? এত দিতে পারবে না তৃণমূল। অনেক পেয়েছেন। উজ্জ্বলের নামে আগেও অভিযোগ পেয়েছি। এবার শেষবার সতর্ক করছি। না হলে গ্রেপ্তার করিয়ে দেব। আর শুভ্রা মহিলা হয়েও এত লোভ কীসের? নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে মেয়েটাকে ভয় দেখাবে না। আমি- আমি নয়। আমরা। আমিত্ব ছাড়ো।’
পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজেদের হয়ে সাফাই গান ওই দুই জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। তাঁরা দাবি করেন, ‘সব কাজই ই টেন্ডারের মাধ্যমেই হয়। এখানে আমাদের কোনও ভূমিকাই থাকে না।’ যদিও তাতে মোটেও কমেনি মুখ্যমন্ত্রীর রাগ। বরং এ বিষয়ে জেলাশাসককে তদন্ত করার নির্দেশ দেন তিনি।